কলকাতার নতুন সাজ, অভিনব ভাষা ‘গ্রাফিতি’

কলকাতাকে দেখার চোখ বদলেছে। মাঝেমাঝেই সেজে উঠছে আমার শহর, নব্য ‘ইন্সটলেশন’-এর সাজে। কারা যেন এসে রঙ করে যাচ্ছে বিদ্যুতবাক্স ও দেওয়ালগুলি। মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিদ্যাসাগর,মাদার টেরেসারা। দেওয়ালে নির্যাতিতা শিশু ও পাচার হওয়া নারী। যেমন ব্রিস্টলের দেওয়ালে ব্যংকসির গ্রাফিতি সারি সারি। ডোভার রোড আর কেয়াতলা লেনে কারা যেন এঁকে দিয়ে যাচ্ছে, ফুল আর শিশুদের উড়ে বেড়ানো।  

ইন্সটলেশন শব্দটির সাথে প্রথম বিশ্বের যোগ অনেকদিনের। কি এই ইন্সটলেশন?  ছবি ক্যানভাস থেকে বেরিয়ে এই মাধ্যমে ধরা দিতে পারে যে কোনও স্পেসেই। আমাদের শহরে এই প্রবণতা যদিও খুব বেশিদিনের না। বেসরকারী বা ব্যক্তিগত উদ্যোগেই রঙিন হয়ে উঠছে শহরের দেওয়ালগুলি। চলার পথে আপনিও হঠাৎ দেখে ফেলছেন সেগুলি। কিন্তু শিল্পীর নাম কি? আপনার প্রশ্ন তৈরি হতে পারে। উত্তর নেই। অথবা, উত্তর ছবিগুলিই।  

মূলত বিদেশী সংস্থার তরফেই আঁকা হচ্ছে এই গ্রাফিতিগুলি।  প্রখ্যাত চিত্রকর হিরণ মিত্র জানালেন, ‘এমনিতে ছবিগুলি দেখতে ভালো লাগছে। ক্যানভাসের এস্থেটিক আর সাইট স্পেসিফিক দেওয়ালের নন্দনতত্ত্ব আলাদা। দুটোয় বিরোধ আছে। তবু এই সব কাজে চেষ্টা ও শ্রমের ছাপ স্পষ্ট। তবে স্থানীর মানুষেরা ছবিগুলিকে কীভাবে দেখছে সেটাও জানার আছে। যারা ফুটপাতে ঘুমোচ্ছেন, তাদের মাথার উপর আঁকা ছবিগুলি, তারা কীভাবে দেখছেন ছবিগুলি সেটাও জানার।’ 

প্রায় একই কথা বললেন এ প্রজন্মের চিত্রকর অসীম পালও। জানালেন, সরকারী তরফে এ ক্ষেত্রে আরও সহযোগীতা প্রয়োজন। তবু নতুন ধারার এই সব ছবি শহরকে যে নতুন ভাষা দিচ্ছে তা এক কথায় মেনে নিলেন সকলেই। 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...