এবারে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়া হবে মনিটরিং এর কাজে। আবর্জনা সাফাইয়ের গাড়িগুলোকে নজর রাখা হবে জি পি এস ট্র্যাকিং-এর মাধ্যমে। প্রতিটি গাড়িতে স্থাপন করা হবে জি পি এস ট্রাকিং যন্ত্র। গাড়িগুলি ভ্যাট অপরিষ্কার রাখলে জি পি এস সিস্টেমের দ্বারা সহজেই চিহ্নিত হবে। কাজের গাফিলতিতে শাস্তির ব্যবস্থাও নির্ধারিত হবে। কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখতে গঠন করা হয়েছে একটি পুর সভার অফিসার দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি এক সভায় হাওড়ার জঞ্জাল পরিস্কার না হওয়ায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার জন্য জোর দেওয়ার কথা বলেন।
আবর্জনা পরিষ্কারের নির্ধারিত ভ্যাটগুলি কেন পরিষ্কার হচ্ছে না তা নিয়ে এবারে বিশেষ উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন হাওড়ার পুরসভার কর্তারা। হাওড়ার পুর প্রশাসক জানান, জিপিএস-এর মাধ্যমে ভ্যাট গুলির ওপর নজর রাখা হবে। দিনে কতবার ভ্যাটগুলি আবর্জনা নিয়ে বেলগাছিয়ার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে আসছে তা জানাতে হবে জিপিএস- এর মাধ্যমেই। ইতিমধ্যেই তৈরী হয়েগেছে এই ট্রেকিং সংক্রান্ত জিপিএস অ্যাপ।
আবর্জনা নিয়ে হাওড়ার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ রয়েছে। সেই আক্ষেপ নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করায় সচেষ্ট হন হাওড়া পুর কর্তারা। হাওড়া পৌর সভায় ভ্যাটের সংখ্যা ৩০০ টি। ভ্যাট থেকে জঞ্জাল পরিষ্কারের দায়িত্বে আছে সাতটি ঠিকাদার সংস্থা। সংস্থা গুলি থেকে ১৯ টি বড় ডাম্পার এবং ৩৫ টির কাছাকাছি ছোট গাড়ি আবর্জনা নেওয়া ও ফেলার কাজ করে থাকে। ঠিকাদার সংস্থাগুলো ঠিক ঠাক কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারেও খতিয়ে দেখা হবে জানানো হয় হাওড়া পুরসভা থেকে।