ভারতের আকাশেও বিমানে ব্যবহার করা যাবে ওয়াইফাই

বিমানে বসে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ, ই-রিডার ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার দিন এবার শেষ। অবশেষে বিমানে বসে ওয়াইফাই সংযোগ করে ইন্টারনেট ব্যবহার করার অনুমতি দিলো দেশের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। ২৯ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রক, নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিমানে বসে ইন্টারনেট চালু রাখার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। যাত্রীরা এখন পাইলট-ইন-কম্যান্ড-এর অনুমতি পাওয়ার পরে ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেটে কাজ করতে পারবেন ।

কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী সুরেশ প্রভু একটি টুইট করে বলেছিলেন, সর্বোত্তম পরিষেবা দিতে , সমস্ত যাত্রীদের জন্য বিমানযাত্রাকে আরো স্বচ্ছন্দ্য করতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে বিমানে যাত্রীদের ওয়াইফাই-এর সুবিধে দেওয়া অন্যতম । রেলের মতো ফ্লাইটে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে । বর্তমানে অনেক এয়ারলাইনস ইতিমধ্যে যাত্রীদের জন্য ওয়াই-ফাই সরবরাহ করতে শুরু করেছে , তবে এতদিন তারা যখন ভারতীয় আকাশসীমাতে প্রবেশ করত তখন যাত্রীদের জন্য এই সুবিধাটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হত নিষেধাজ্ঞার কারণে । এয়ারএশিয়া, এয়ার ফ্রান্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, মিশর এয়ার, এয়ার নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারওয়েজ এবং ভার্জিন আটলান্টিক এমন ৩০ টি বিমান সংস্থা রয়েছে যা ইতিমধ্যে বিমানগুলিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি দেয়।

বিমান চলাকালীন যাত্রীদের ওয়াইফাই-এর অনুমোদন দেবেন বিমানের পাইলট-ইন-কম্যান্ড। বিমানে যাত্রীদের ওয়াইফাই-এর সুবিধে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারক্র্যাফ্টকে ডিরেক্টর জেনারেলের কাছ থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।তবে ওয়াইফাই সংযোগ করে ইন্টারনেট ব্যবহারের হলেই তা ফ্লাইট মোড অন করে ব্যবহার করতে হবে । মাঝ আকাশে কল করা বা কথা বলার ব্যাপারে এখনও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...