আপৎকালীন পরিষেবায় জীবনদায়ী ওষুধ পরিবহন করবে ড্রোন। মহারাষ্ট্র সরকার চালু করতে চলেছে এই ব্যবস্থা। মহারাষ্ট্র সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই পরিষেবার কথা।
সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সহায়তায়। এই পরিকল্পনা সফল হলে বিশ্বে প্রথম জরুরি চিকিৎসায় ড্রোনের ব্যবহার করা হবে। এক ড্রোন অপারেটর সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শুরু করার ভাবনা চলছে।
পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মহারাষ্ট্র মেডিকেল ড্রোন ডেলিভারি সার্ভিস’। ২০২০ সালের গোড়াতেই শুরু হবে এই পরিষেবা। রক্ত, জরুরি জীবনদায়ী ওষুধ এবং চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য আপদকালীন প্রয়োজন মেটাবে ড্রোন। এমার্জেন্সি নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করা হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেন্টার গড়ার কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে পরিকল্পনা করে হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ পুনে থেকে নন্দুবার এলাকায় সেন্টার গড়ে তোলা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে আরও ১০ টি সেন্টার গড়ে তোলা হবে।
১.৮ কেজি ওজন বহন করতে পারবে ড্রোন। ১১০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারবে। ড্রোনের রেঞ্জার ১৬০ কিমি।
কুড়ি হাজার স্কোয়ার কিমি অতিক্রম করতে পারবে। মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত অঞ্চলও এই পরিষেবার আওতায় থাকবে। ২০ কোটি মানুষ এই পরিষেবার সুবিধা পাবে। ড্রোন পরিষেবা মিলবে সপ্তাহের সাতদিন। চব্বিশ ঘন্টাই।