ব্ল্যাক বেল্ট ধারী চিকিৎসক! অবাক শোনালেও এমন ক'জন আগামীর চিকিৎসক রীতিমত প্রস্তুত করেছেন নিজেদের এই সম্মান অর্জনে। ডাক্তারি পড়াশোনা, সরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা আর তার পাশাপাশি চলেছে তাদের মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ। গত দুই বছর ধরে তাইকোন্ডো-র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা। সম্প্রতি ব্ল্যাক বেল্ট সম্মান অর্জনের জন্য পরীক্ষা দিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং হবু চিকিৎসকেরা। এই প্রতিষ্ঠানের তিন জন জুনিয়র চিকিৎসক, ডাক্তারি পড়ছেন এমন তৃতীয় বর্ষের দুই জন এবং শিক্ষক চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়ে চলেছেন মার্শাল আর্ট বিদ্যায়।
এনআরএস-এ ২০১৭ থেকে ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন ডেপুটি সুপার দ্বৈপায়ন বিশ্বাস। মাঝামাঝি পর্যায়ে অনেকে ছেড়ে দিলেও অধ্যবসায় সাথে নিয়ে প্রশিক্ষণ চালিয়ে গেছেন তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রী কৌশিকী রমন ও ঋতুপর্ণা মুখোপাধ্যায়, জুনিয়র চিকিৎসক প্রীতম রহমান, আকাশ মণ্ডল, ইন্দ্রায়ুধ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এক্স-রে ও আলট্রাসাউন্ডের শিক্ষক-চিকিৎসক তৌসিফ মির্জা। সম্প্রতি একাডেমি ভবনেই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন, ডেপুটি সুপার, গ্রান্ডমাস্টার- ‘সেভেন ডান’ ব্ল্যাক বেল্ট প্রদীপ্ত রায় এবং মাস্টার রুমা রায়চৌধুরীর সামনে।
প্রায়শই আজকাল আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের সাথে ডাক্তারদের প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়। চাপাচাপি, ধস্তাধস্তি, প্রতি আক্রমণ ইত্যাদি এসব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন ডাক্তারদেরও। তবে শুধুমাত্র শারীরিক বল প্রয়োগ করে কাউকে আঘাত করা নয় বরং হাতের কৌশলে আত্মসুরক্ষা করা আর মানসিক স্থিরতাই তাইকোন্ডো প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য। এই প্রশিক্ষণ অংকের মত, সঠিক কৌশল প্রয়োগ করলে যথেষ্ট শক্তিশালী মানুষকেও সহজেই পরাস্ত করতে পারে তাইকোন্ডো শিক্ষার্থী, জানিয়েছেন ডেপুটি সুপার। রোগী দেখার চাপ, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আর অতিরিক্ত কাজ করার সময় মানসিক ভাবে শান্ত রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে তাইকোন্ডো প্রশিক্ষণ।