গত বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার সংশোধিত তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের বিষয়বস্তু নিরীক্ষণের জন্য একটি ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট (এফসিউ) তৈরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এই বিজ্ঞপ্তিতে বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছেন যে, “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর অধীনে ফ্যাক্ট চেক ইউনিটকে কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে কৌতুকাভিনেতা কুণাল কামরা সম্প্রতি এফসিইউ প্রতিষ্ঠা স্থগিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। নতুন সংশোধিত বিধি আদালত কর্তৃক বৈধ না হওয়া পর্যন্ত এই ইউনিট গঠন স্থগিত রাখার আবেদন ছিল তার। বোম্বে হাইকোর্ট তার আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেছে যে আইটি নিয়মের অধীনে একটি ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট স্থাপনের অনুমতি দিলে কোনও গুরুতর এবং অপূরণীয় ক্ষতি হবে না।
জানা গিয়েছে যে বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি এ এস চান্দুরকারের একক বেঞ্চে কুণালের আবেদনের শুনানি হয়।
কুণালের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি জানিয়েছেন যে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁর ধারণা, চূড়ান্ত নিয়ম তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এফসিইউ-এর উপর স্থগিতাদেশ না দিলে কোনও গুরুতর এবং অপূরণীয় ক্ষতি হবে না। ৩১শে জানুয়ারি দুই বিচারপতির বেঞ্চ একটি বিভক্ত রায় দেওয়ার পর বিচারপতি চান্দুরকরকে তৃতীয় বিচারক হিসেবে মামলার শুনানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া জানা গিয়েছে যে ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার তথ্য প্রযুক্তি নিয়ম ঘোষণা করেছে এবং ২০২১ সালে কিছু সংশোধনী ঘোষণা করেছিল। তার মধ্যে একটিতে বলা হয়েছিল যে চেকিং ইউনিট সরকার সম্পর্কিত জাল, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর অনলাইন বিষয়বস্তুকে চিহ্নিত করতে পারবে৷
আরও জানা গেছে যে এই আইটি নিয়মের অধীনে, এফসিইউ যদি এমন কোনও বিষয়বস্তু খুঁজে পায়, তবে এটি সরকার ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারীদের অবহিত করতে পারে এবং তাদের জরুরি ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।