কলকাতার ঐতিহ্য, বাঙালির গর্ব হল দুর্গোৎসব। আর এই দুর্গাপুজোর ইতিহাস জানার জন্য চলে যেতে হবে সেই রামায়ণের গল্পে। কিন্তু কলকাতায় দুর্গাপুজোর শুরু কিন্তু হয়েছিল সাবেকি দিয়েই। তবে যুগ ও মানুষের চিন্তাধারা বদলের সাথে সাথে পাল্টাচ্ছে পুজোর ধরণ। আর তাই বেশিরভাগ পুজোই নিজেদের সাবেকিয়ানা ছেড়ে চলে যাচ্ছে আধুনিকতার থিমে। আর সেরকমই একটি ক্লাব হল এই গৌরিবেড়িয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী ক্লাব। স্বাধীনতার পর কলকাতার প্রথম মেয়র সুধীর রঞ্জন রায়চৌধুরী দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন এই ক্লাবের পুজোর সভাপতি হিসেবে। সুতরাং বোঝাই যায় এই ক্লাবের ইতিহাস কতটা সমৃদ্ধ।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল গৌরীবেড়িয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী ক্লাব। সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বললেন ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মান্টা মিত্র এবং ক্লাবের দুই কার্যনির্বাহী সদস্য সাবেক কুমার মন্ডল ও নীলকমল মিত্র।
এই বছর গৌরীবেড়িয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী ক্লাবের পুজো ৮৬তম বছরে পড়তে চলেছে। ২০১৭ সাল থেকে এই ক্লাব তাদের থিমপুজো শুরু করে। আর এই বছর থিম শিল্পী পরিমল পাল-এর সৃষ্টিকল্পে তৈরি হবে এক অভিনব থিম। এই বছর তাদের থিমের নাম ‘ভিনদেশী তারা’।এই বছর মহালয়ার পরের দিনই অর্থাৎ প্রতিপদে উদ্বোধন হতে চলেছে তাদের পুজোর। এছাড়া পাড়ার সকলের জন্য এবং সকল দর্শনার্থীদের জন্য ভোগের ব্যবস্থা করা হবে অষ্টমীতে।
দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রোয় উঠে নামতে হবে শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে। এরপর খান্নাগামী কোনও বাসে উঠে নামতে হবে গৌরীবাড়ি স্টপেজে। সেখান থেকে অল্প হাটলে পৌছে যাবেন গৌরিবেরিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনী ক্লাব।