সুখবর, রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় এবারে পরীক্ষার্থীর হার বেশি, গত বছরে আবেদনপত্রের নিরিখে রাজ্য জয়েন্টে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। এমনটা বলা হচ্ছিল যে, আবেদন করার পরও অনেক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসছেন না। এবছর সেই উদ্বেগ কিছুটা হলেও কেটেছে বলে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। বোর্ড সূত্রে খবর, এবছর, আবেদনকারীর সংখ্যা কম হলেও, সংখ্যার বিচারে পরীক্ষায় বসার হার অনেকটাই বেশি গত বছরের তুলনায়। এবছর যতজন আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৮২ শতাংশই পরীক্ষায় বসেছেন বলে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড জানিয়েছে। গতবারের থেকে তা অন্তত ১০ শতাংশ বেশি। আর এই পরিবর্তন ইতিবাচক বলে মনে করছেন জয়েন্ট বোর্ডের কর্তারা।
এবছর নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই মাস আগে রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষা হয়েছে। এবারে ৮৮,৮০০ টি ফর্ম জমা পড়েছিল। গতবছর এর থেকে অনেকটাই কম আবেদনকারী পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাই এবছরও একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা না কমে যায়। কিন্তু আনন্দের বিষয় সেরকম কিছু হয়নি।
জয়েন্ট বোর্ডের হিসেব অনুযায়ী, কোনও কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ হলেও বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে আবার ৭০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি ছিল না। বোর্ড সূত্রে খবর, গত বছর ১ লক্ষ, ১৩ হাজার ৯১২ টি আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে প্রায় ৩২ হাজার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষায় বসেছিলেন ৮১ হাজার ৯১২ জন। সেক্ষেত্রে উপস্থিতির হার ছিল ৭২ শতাংশ। আবার ২০১৮ সালে ১ লক্ষ ২৫ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৯৭৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। হাজিরার হার ছিল ৮৪ শতাংশ।
এবছর নির্ধারিত সময়ের আগে পরীক্ষা হওয়ার বিষয়ে বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, যেহেতু এবারে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পরীক্ষা হয়েছে, তাই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাঁরা যাতে অন্য রাজ্যে চলে না যান, তাই এত আগে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার আসছে আসল চ্যালেঞ্জ। বোর্ডের মতে, কাউন্সেলিংয়ের সময় পড়ুয়াদের ধরে রাখাটাই একটা বড় বিষয়। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র জানিয়েছেন যে, আগে পরীক্ষা হওয়ায়, পরীক্ষার্থীরা উৎসাহ নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। অতীতে দেখা গেছে যে, রাজ্য জয়েন্ট হতে দেরি হলে অনেকেই বসতেন না। কারণ তাঁরা ততক্ষণে অন্য কোথাও সুযোগ পেয়ে যেতেন এবং তার ফলে আর নতুন করে রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষায় বসার উৎসাহ হারিয়ে ফেলতেন তাঁরা। তাই একথা বলা যায় যে, এবছর সেই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান করা গেছে। বাকিটা কাউন্সেলিংয়ের পর বোঝা যাবে।