উত্তরপ্রদেশে সন্ধান পাওয়া গেল বিপুল পরিমান সোনা সমৃদ্ধ স্বর্ণখনির। উত্তরপ্ৰদেশের সোনভদ্র জেলাটি মাওবাদী অধ্যুষিত এবং এলাকাটি চরম দারিদ্রতার একটি নিদর্শন বলা চলে। সেই দুঃখের দিন অবশেষে শেষ হতে চলেছে বলেই মনে হয়। এই জেলার সোনপাহাড়িতে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা দুটি সোনার খনি খুঁজে পেয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ওই সোনার খনিতে অন্তত ৩৩৫০ টন সোনা মজুত আছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই বিপুল পরিমান সোনা উদ্ধার করা হয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা দেশে যে পরিমান সোনা সংরক্ষিত রয়েছে, তার পাঁচ গুণের সন্ধান পাওয়া গেছে এই সোনভদ্র জেলায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সোনার সন্ধানে খননকার্য চালানো হচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সোনভদ্র জেলার খনি সংক্রান্ত বিভাগের আধিকারিক কে কে রাই জানান, সোনভদ্র জেলার সোনপাহাড়ি এবং হারদি এলাকায় দুটি সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সোনাপাহাড়িতে ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন টন এবং হারদিতে ৬৫০ মিলিয়ন সোনা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ মোট ৩৩৫০০ কিলো সোনা পাওয়া গেছে। সেই দিক থেকে বিচার করে দেখা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে সারা দেশে যে পরিমান সোনা সংরক্ষিত রয়েছে, এই নতুন খুঁজে পাওয়া সোনা তার চাইতে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। লাগাতার গবেষণা এবং অনুসন্ধানের পর ২০১২ সালে সোনার উপস্থিতি রয়েছে ওই এলাকায়, তা প্রমাণ হয়েছিল। জিএসআই টিমের তরফে জানানো হয়েছিল, সোনভদ্রের পাহাড়েই কয়েক হাজার টন সোনার ভান্ডার রয়েছে।
সোনভদ্রের খনি আধিকারিক কে কে রাই আরও বলেছেন, ওই এলাকায় ইউরেনিয়াম ভান্ডার থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। খুব শীঘ্রই তার সন্ধানও শুরু হতে চলেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্বর্ণখনির উপস্থিতি জানার পর থেকেই খনি দুটি মাইনিং এর জন্য লিজ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে ভারতে ৬২৬ টন সোনা সংরক্ষিত রয়েছে।