মাটির নিচে গুপ্তধন লুকিয়ে থাকার জনশ্রুতি প্রায়ই শোনা যায় পুরনো মন্দিরগুলোকে ঘিরে| অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা গুজব বলে প্রমানিত হলেও তামিলনাড়ুর এক মন্দিরের ক্ষেত্রে কিন্তু উল্টোটাই হয়েছে| তিরুচিরাপল্লিতে জাতিরুভানাইকাভালের জম্বুকেশ্বর মন্দিরের কাছে মাটি খুঁড়তেই উঠে আসে এক বড়সড় পেতলের পাত্র| পাত্রের ঢাকা সরাতেই চোখ কপালে উঠে যায় মন্দির কর্তৃপক্ষের| পাত্রের মধ্যে ঠাসা রয়েছে সোনার মুদ্রা| পরে মুদ্রাগুলি গুনে ও ওজন করে দেখা গেছে ১.৭১৬ কিলোগ্রাম ওজনের ৫০৫টি স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে। তার মধ্যে ৫০৪টি ছোটমুদ্রা , একটিই বড়। মুদ্রার পিঠে আরবি হরফে লেখা খোদিত রয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে|
মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, মন্দিরের একটা জায়গায় খনন কার্য চালাতে গিয়ে মাটির প্রায় সাত ফুট নিচ থেকে পাত্রটি উদ্ধার করা হয়| মুদ্রা সমেত পাত্রটি স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছে মন্দিরের কর্তারা| পাত্র ও সোনার মুদ্রাগুলিকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা পরীক্ষা করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে এগুলি কোন যুগের এবং কত পুরনো| সোনার মুদ্রা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়| স্থানীয় সূত্রের তথ্য বলছে, বর্তমানে যেখানে জম্বুকেশ্বর মন্দির সেখানে আগের রাজ পরিবারের বাসস্থান ছিল| শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করতে নজর এড়িয়ে রাজ পরিবারের কেউ গুপ্তধন মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিল|