চলছে জানুয়ারী মাস পিকনিকের সিজন| তাই পিকনিক স্পটগুলিতেও ভিড় হচ্ছে চোখে পড়ার মতো|কিন্তু পিকনিকের সমস্ত মজা শুধু মানুষই নেবে তা কি কখনো হয়? এবার পিকনিকে সামিল দেবতারাও| কিভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক...................
পিকনিকে খাওয়ার মেনু শুনলেও চমকে যেতে হয়| অবশ্যই ভগবানের পিকনিক বলে কথা| শুরুতেই থাকে গরম বালিতে সদ্য ভাজা গরম মুড়ি তার সাথে গরম কফি| এরপর দুপুরের খাবারে থাকে ভোজে সাদা ভাতের সঙ্গে বেতো শাক, সোনামুগ ডাল, আলুর চিপস্, ফুলকপির বড়া, এঁচোড়ের রসা, পোস্ত পনির, টম্যাটো-আমসত্ত্ব-খেজুরের চাটনি, পাঁপড় ভাজা আর রাজভোগ। শুধু খাওয়াদাওয়াই নয় সাথে গানবাজনা এবং গল্পের আসরও জমে ওঠে ভক্তদের আনুকূল্যে| দিনভর চলতে থাকে কির্তন| এই পিকনিকের জন্য ভক্তদের কাছ থেকে মাথাপিছু ১৫০ টাকা করে নেওয়া হয়|
জানা গেছে, প্রতিবছর শীতে নবদ্বীপের বহু বৈষ্ণব মন্দির দেবতাদের নিয়ে একটি পিকনিকের আয়োজন করেন| কখনো মন্দিরের দালানে কখনো বা মন্দিরের বাগানে পিকনিকের জন্য একত্রিত হন মন্দির থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভক্তদের গৃহদেবতা| শুধু ভগবানই যে পিকনিকে যান তা কিন্তু নয় তাদের ভক্তরাও সমবেতভাবে চলেন ভগবানের পিছুপিছু|
জানা গেছে, অতীতে শ্রীকৃষ্ণ নিজেই তার সখাদের সাথে অন্নাদি ভাগ করে খেতেন| সেই বনভোজনের প্রথাই আজও প্রচলিত রয়েছে বৃন্দাবনে|