১৪০ কোটি ভারতীয়দের চোখ এখন শুধুমাত্র অযোধ্যার দিকেই। এই মন্দিরের নির্মাণের শুরু থেকেই ভক্তদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। আর ৪দিন পরেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দির।
ভগবান শ্রী রামলালার মূর্তির শুভ প্রাণ প্রতিষ্ঠা যোগ পৌষ শুক্লা কূর্ম দ্বাদশী, বিক্রম সংবত ২০৮০, অর্থাৎ সোমবার, ২২ জানুয়ারি৷ ইতিমধ্যেই মন্দিরে পৌঁছেছেন রাম লালা। রামলালাকে দেখার ইচ্ছে প্রতিটি ভক্তের মনে। ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে বহু ভক্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাত্রা। এবার সেই যাত্রায় পা দিলেন বাংলার এক মহারাজ। জানা গিয়েছে যে বাইকে করে গোবরডাঙ্গা রাম মন্দির থেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন শ্রী শ্রী গৌড় গোপাল ভজন আশ্রমের মহারাজ গৌড় হরিদাস। মহারাজের সঙ্গে রয়েছেন তারই শিষ্য অরুণ বৈদ্য।
জানা গিয়েছে তিনি প্রথমে কল্যাণী তারপর দুর্গাপুর হয়ে বিভিন্ন রাজ্য অতিক্রম করে বেনারসে পৌঁছবেন আগামী ২১ জানুয়ারি। প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পৌঁছে যাবেন অযোধ্যার রামমন্দিরে।
শুধু মহারাজ নন, শারীরিক বিশেষভাবে সক্ষম সৌমিক গোলদার এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে গোবরডাঙ্গার রামমন্দির থেকে ইতিমধ্যেই বেনারস পৌঁছে গেছেন।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই মেদিনীপুরে উদ্বোধন হয়েছে রামমন্দির। মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে গাঁধীঘাট এলাকায় উদ্বোধন হয়েছে রাম-সীতা মন্দিরের। সমস্তরকম তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাণ প্রতিষ্টা উৎসবের জন্য সরকার ও প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে আসছে। এখন প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। তবে এই দিন সকল দর্শনার্থী ভক্তদের জন্য প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অতিথিরা আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে তবেই প্রবেশ করতে পারবেন মন্দিরের ভিতরে। যাদের কাছে ট্রাস্টের আমন্ত্রণপত্র রয়েছে তারাই মন্দিরে যেতে পারবেন।
ইতিমধ্যে অযোধ্যায় চলছে শেষ প্রস্তুতি। রাম মন্দিরে নিরাপত্তার জন্য কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে উদ্বোধনের দিন সকল দর্শনার্থী ভক্তদের জন্য প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করতে পারবে।
রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে প্রত্যেকটি অতিথিদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। জানা গিয়েছে যে সকাল ১১টার মধ্যেই সকল অতিথিদের মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। অতিথি তালিকায় যদি নাম না থাকে তাহলে কোনও সাধু-সন্ত প্রবেশ করতে পারবেন না।
এছাড়া কোনও পরিচারক বা সাহায্যকারীকে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাঁদের একাই যেতে হবে মন্দির চত্বরে। মোবাইল, ইলেকট্রনিক ঘড়ি, ল্যাপটপ বা ক্যামেরার মতো যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক জিনিস মন্দিরের ভেতর বহন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যদি কোনও সাধু-সন্ত রামলালাকে দর্শন করতে চান, তাহলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পরই প্রবেশ করতে পারবেন।