গোয়াবাগান শারদ্যোৎসব সম্মিলনী | জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯

কলকাতা তথা বাংলার দূর্গাপুজো আজ যদি ধরা হয় তাহলে বলাই যায় এই উৎসব হল ক্লাবে ক্লাবে থিমের লড়াই। সাবেকিয়ানা থাকলেও যেন থিমের প্যান্ডেলে ভরে যায় গোটা মহানগরী। আর তাই দেখতে রাস্তায় নেমে পড়েন আবালবৃদ্ধবনিতা। কিন্তু উল দিয়ে তৈরি মন্ডপ – এ ভারী অদ্ভুত ও অভিনব এক চিন্তাভাবনা। আর সেই অভিনবত্ব এবারের পুজোয় দেখাতে চলেছে গোয়াবাগান শারদ্যোৎসব সম্মিলনী

জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডাজিয়ো বাংলা স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল গোয়াবাগান শারদ্যোৎসব সম্মিলনী। সঞ্চালক দীপালির সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বললেন পুজো কমিটির দুই কার্যনির্বাহী সদস্য গৌরব মন্ডলরিক দত্ত। এই বছর এই পুজো কমিটির দূর্গোৎসব ১৩তম বর্ষে পা দিতে চলেছে। আর এই ত্রয়োদশ বর্ষে যাতে মানুষের নজর বিশেষভাবে কাড়া যায় তারই জন্য এই উলের প্যান্ডেল তৈরির চিন্তাভাবনা। পুজো কমিটির মহিলা সদস্যা বিদিশা রায়-এর তত্ত্বাবধানে একেবারে জোর কদমে চলছে প্যান্ডেল প্রস্তুতি। এই বছর তাদের থিমের নাম ‘ঔর্গ’।  

চতুর্থীর দিন অর্থাৎ অক্টোবর গোয়াবাগান শারদ্যোৎসব সম্মিলনীর পুজোর শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে। অন্যান্যবারের মত এইবছরও পুজোর উদ্বোধন করবেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে। এছাড়া নবমীতে কমিটির তরফ থেকে বিশেষ কিছু কর্মসূচী পালন করা হবে। পাড়ার মানুষদের নিয়ে যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে, তেমনই পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে ভোগও পৌছে যাবে কমিটির তরফ থেকে। ভোগের মেনু শুনলে জিভ থেকে জল আসতে বাধ্য। পোলাও-আলুরদম-পায়েস এর যুগলবন্দীতে পেটপুজো একেবারে জমিয়ে দিতে চাইছে তারা।

তাহলে উলের প্যান্ডেল দেখতে আসতেই হচ্ছে গোয়াবাগান শারদ্যোৎসব সম্মিলনীতে। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী মেট্রো ধরে নামতে হবে শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে খান্না যাওয়ার কোনও বাস ধরে নামতে হবে সাহিত্য পরিষদ স্টপেজে। বাস থেকে নেমে একটু হাটলেই পেয়ে যাবেন গোয়াবাগান শারদ্যোৎসব সম্মিলনীর পুজো মন্ডপ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...