হাঙ্গর তাও আবার ‘গ্লোয়িং’.....
মেক্সিকো উপসাগরে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন একটি শার্কের প্রজাতি যারা অন্ধকারে জ্বলে| এই ‘গ্লো ইন দ্য ডার্ক’ শার্কগুলি নিজের শিকারকে আকর্ষণ করার জন্য একরকম বায়োলুমিনেসেন্ট ফ্লুইড ব্যবহার করে|
টুলেন ইউনিভার্সিটির সমীক্ষা দ্বারা জানা যায়, ২০১০ সালে গবেষকরা রিসার্চ করতে করতে মোলিসকুয়ামা মিসিসিপিয়েনসিস বা অ্যামেরিকান পকেট হাঙ্গরের সম্বন্ধে অনুসন্ধান করেছিলেন| সেক্ষেত্রে ৫.৬ ইঞ্চি লম্বা একটি ‘মেল শার্ক’-কে নমুনা হিসাবে গবেষণা করা হয়|
সূত্র অনুযায়ী, এই প্রায় ৫.৫ ইঞ্চির শার্কগুলি কাইটফিন হাঙ্গরের প্রজাতির অন্তর্গত, যারা শরীর থেকে একরকমের আলোক সমন্বিত ফ্লুইড নির্গত করে যাতে তাদের শিকাররা তাদের প্রতি আকর্ষিত হয়|
সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে হওয়া এনওএএ সার্ভে-তে ন্যাশনাল ওশিয়ানিক এন্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অন্তর্গত ন্যাশনাল মেরিন ফিশারিজ সার্ভিস মিসিসিপি ল্যাবরেটরিস-এর গবেষক মার্ক গ্রেস সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে এটি লক্ষ্য করেন|
১৯৭৯ সালে প্রশান্ত মহাসাগরে এই শার্কের মতো এক অন্য প্রজাতির শার্ক পাওয়া গিয়েছিল, যা রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের জুলজিকাল মিউজিয়ামে রাখা আছে|
মার্ক গ্রেস জানিয়েছেন, এই দুই ধরণের শার্ক আলাদা প্রজাতির ও আলাদা মহাসাগরের| তবে দুটিই অতীব বিরল| পার্থক্য শুধু এটাই যে উপসাগরের হাঙ্গরে প্রচুর পরিমানে আলোক উৎপাদনকারী ফটোফোর থাকে আর অন্য হাঙ্গরে কম ভার্টিব্রে থাকে|
টেলেন বায়োডাইভার্সিটি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’র ডিরেক্টর হেনরি বার্ট-এর কথায়, মেক্সিকো উপসাগরে একটি পকেট হাঙ্গরের কথা জানা যায় যা নতুন প্রজাতির| আরো জানা যায়, উভয় প্রজাতির হাঙ্গরের ফুসফুসের প্রত্যেক পাশে দুটি করে পকেট থাকে যা দিয়ে ওই আলোকিত ফ্লুইড উৎপাদন হয়|