ঘুষ্মেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের উৎপত্তির কাহিনি

শিব পুরাণে আছে ঘুষ্মেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের উৎপত্তির এই জ্যোতির্লিঙ্গের সঙ্গে জড়িয়ে ভরদ্বাজ বংশীয় সুধর্মা নামের এক ব্রাহ্মণ ও তাঁর স্ত্রীর নাম। প্রাচীনকালে দেব পর্বতে সুধর্মা নামে এক ভরদ্বাজবংশীয় ব্রাহ্মণ বাস করতেন। তিনি অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ মানুষ ছিলেন, ভগবান ভিন্ন সংসারের দিকে তিনি সে ভাবে নজর দিতেন না। তার পত্নী সুদেহাও স্বামীর মতো অত্যন্ত ধর্মশীলা নারী ছিলেন। কিন্তু একটি কামনায় সুদেহাকে ভেতর থেকে পরিবর্তন করে দিল, তার চরিত্রে আমূল পরিবর্তন এল, ধর্মশীলা সেই নারী ধর্ম বিমুখ হয়ে উঠলেন, প্রাণঘাতী হয়ে উঠলেন অন্যের জন্য।

 শিব পুরাণের ঘুষ্মেশ্বর শিবলিঙ্গের এই কাহিনী শুধু দেবাদিদেব মহাদেবের মাহাত্ম্য  কথাই নয়,  এ এক নারীরও মাহাত্ম্য, যে নারী তার জীবনে প্রবল সংকটের সম্মুখীন হয়েও তার জীবনের সকল সংকটের জন্য যিনি দায়ী তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন নিঃশর্তে। আসলে মানুষ যখন ভগবানের ভক্ত হয় তখন সে অন্তরের ভেতর থেকে একটি শক্তি লাভ করে, সেই শক্তি তাকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করে দেয়, শিব পুরাণের ঘুষ্মেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের উৎপত্তির এই কাহিনী সেই চিরায়ত সত্যের দিকেই ইঙ্গিত করে।

ব্রাহ্মণ সুধর্মা সবসময় দেবপুজায় ব্যস্ত থাকতেন, তিনি নিত্য অতিথি সৎকার ও অগ্নিসেবা করার সাথে সাথে শ্রদ্ধার সঙ্গে তিনবার সন্ধ্যাবদনা করতেন। তিনি সব সময় বিভিন্ন রকম ধর্ম শাস্ত্র পড়াশোনা করতেন। এত তপস্যার ফলে ব্রাহ্মণের স্বর্গের দেবতাদের মত তেজ সৃষ্টি হয়, এছাড়া তিনি নিস্পৃহ ও নির্লোভ ছিলেন। ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেছিলেন তিনি। তাঁর মুখ দেখলেই তার জ্ঞানের বিস্তৃতি অনুমান করা যেত, সব সময় তিনি প্রশান্ত মুখে থাকতেন। পূর্বেই বলেছি তার স্ত্রী সুদেহা ছিলেন তাঁরই মতো ধর্মশীলা। তবে তাঁর অন্তরের মধ্যে একটি কামনা ছিল যা সব সময় তার হৃদয়কে বিদীর্ণ করে যেত।

বহু বছর ধরে ধর্মানুষ্ঠান করলেও তাঁদের কোন পুত্র সন্তান ছিল না। এইজন্য জ্ঞানী সুদেহার কোনো কষ্ট না হলেও তার স্ত্রী অত্যন্ত মনোকষ্টে ভুগতেন, তিনি প্রায়ই তার স্বামীকে বলতেন পুত্রসন্তান প্রাপ্তির জন্য কিছু করতে। কিন্তু সুধর্মা তো জ্ঞানী ছিলেন তিনি জানতেন যে কোন পুত্র কখনও তার পিতাকে অথবা মাতাকে অথবা বংশকে উদ্ধার করতে পারে না, একমাত্র আত্মাই আত্মাকে উদ্ধার করে। তিনি জানতেন তিনি নিজেই নিজের পবিত্রতা ও আত্মশুদ্ধির কারণ, পুত্র নয়। কিন্তু তার স্ত্রী সুদেহা পুত্রের মুখ দর্শন না করতে পেরে অত্যন্ত দুঃখিত মনে স্বামীকে বলতেন পুত্র লাভের জন্য তুমি কিছু করো। স্বাভাবিকভাবেই জ্ঞানী সুধর্মা এতে রেগে যেতেন এবং স্ত্রীকে ভৎসনা করে বলতেন," এই সংসারে কে পিতা , কে পুত্র ? আত্মীয় বান্ধব সকলেই স্বার্থের অন্বেষণ করে। এই কালে তুমি দুঃখ ত্যাগ কর। হে প্রিয়ে , একথা আমাকে আর কখনো বলবে না।"                           

পরম ধার্মিক সুধর্মা স্ত্রীকে এই কথা বলে শীত-উষ্ণ ও সুখ-দুঃখের সকল দ্বন্দ্ব ত্যাগ করে পরম সন্তুষ্টচিত্ত হয়ে রইলেন, তার মনে পুত্র প্রাপ্তি নিয়ে বিন্দুমাত্র অসন্তোষ বা দুঃখ ছিল না কারণ তিনি ছিলেন ব্রহ্ম জ্ঞানী, তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে ব্রাহ্মণ।

 এরপর একদিনের ঘটনা সুদেহার জীবন পরিবর্তন করে দেয়। একবার সুদেহা একজন প্রতিবেশীর বাড়িতে যান, সেখানে গিয়ে কোন কারণে প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তার ঝামেলা বাঁধে। তখন প্রতিবেশী পত্নী সুদেহাকে বলে,"তুমি বন্ধ্যা , অপুত্রক , আমি পুত্রবতী , তুমি কোন কথা বলো না। আমরা গত হলে আমাদের ধন আমার পুত্র ভোগ করবে। কিন্তু তোমার ধন রাজা হরণ করবে।"

এইসব কথা শুনে অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে সুদেহা তার তার স্বামীর কাছে এসে সমস্ত কথা জানায়, তার স্বামী ব্রাহ্মণ সুধর্মা অত্যন্ত জ্ঞানী হওয়ার কারণে প্রতিবেশীর কথায় বিন্দুমাত্র দুঃখিত হয়না, সে তার স্ত্রীকে বলে,

"প্রিয়ে ওরা বলছে বলুক। যা ভবিতব্য তার অন্যথা নেই।" কিন্তু সুদেহা স্বামীর কথায় এইবার আর শান্ত হলেন না তিনি তার স্বামীকে বললেন যে,আপনি যদি পুত্র উৎপাদনে যত্নবান না হন , তবে আমি দেহত্যাগ করব। স্ত্রীর এই কথা শুনে ব্রাহ্মণ সুধর্মা কিছুক্ষণ চিন্তা করে দুটি ফোটা ফুল নিয়ে তা অগ্নিতে নিক্ষেপ করলেন। অন্য দুটি ফুল নিয়ে তার একটিকে পুত্রফলপ্রদ বলে স্থির করলেন। এরপর সুধর্মা সুদেহার  হাতে ফুলদুটি রেখে সুদেহাকে বললেন , "প্রিয়ে এই দুটি ফুলের একটিকে গ্রহণ কর । এরমধ্যে একটি ফুল পুত্রফলপ্রদ।"

কিন্তু ভাগ্য বিরূপ, সুদেহা দুটি ফুলের মধ্যে যে ফুলটিকে গ্রহণ করলেন, সেটি সুধর্মা কর্তৃক পুত্রফলপ্রদ বলে স্থির করা ছিল না। তাই তিনি স্ত্রীকে বললেন," প্রিয়ে , তোমার পুত্র হবে না। এটাই ঈশ্বরের নিয়ম। এখন সে আশা পরিত্যাগ করে হরি সেবা করো। সুধর্মা তখন আপন কর্তব্যকর্ম যথাবিধি করে যেতে লাগলেন। তিনি সতত ধর্মবিস্তারে মগ্ন হয়ে রইলেন।"

সুদেহা কিন্তু পুত্রের কামনা পরিত্যাগ না করে স্বামীকে বললেন," হে নাথ,আমার যদি পুত্র না হয় , তবে আপনি অন্য এক নারীকে বিবাহ করুন। তাহলেই আপনার পুত্র হবে।" সুধর্মা তখন বললেন , "তাতে যদি তোমার দুঃখের অবসান হয় তবে তাই হবে। এখন আমার ধর্মকার্যে ব্যাঘাত  করো না।" এরপর একদিন সুদেহা তার ভ্রাতুষ্পুত্রী এলে স্বামীকে বললেন, “আপনি একে বিবাহ করুন।" সুধর্মা পত্নীকে বললেন, “এখন তুমি একথা বলছ বটে , কিন্তু এই নারী পুত্র প্রসব করলে তোমার মনোভাবের পরিবর্তন হবে। তুমি তার উপর প্রভুত্ব করার চেষ্টা করবে।"এইকথা শুনে সুদেহা বললেন, “ স্বামী,  ঘুষ্মা নামে এই নারী আমার আত্মীয়া। এ আমার চিরকালই প্রিয় থাকবে। আমি এর দাসী হয়ে থাকব।”

তখন সুধর্মা সুদেহার কথা রাখতে ঘুষ্মাকে বিবাহ করে স্ত্রী হিসাবে স্বীকার করে সুদেহাকে বললেন, “এ তোমার আত্মীয়া, একে তুমি যত্নসহকারে পালন করবে।”

শিবপুরাণে বর্ণিত আছে, “সুদেহা তার ভ্রাতুষ্পুত্রীর দাসী হয়ে রইলেন,  ঘুষ্মা স্বামীর আদেশে প্রতিদিন একশো একটি করে মাটির শিবলিঙ্গ গড়তেন এবং তা পূজা করার পর জলে বিসর্জন দিতেন। এইভাবে বহুকাল অতীত হল। ঘুষ্মার দ্বারা নির্মিত শিবলিঙ্গের সংখ্যা এক লক্ষ পূর্ণ হল। তখন শিবের কৃপায় সুধর্মার দ্বিতীয় পত্নী ঘুষ্মা গর্ভধারণ করলেন এবং যথাকালে এক সুন্দর পুত্র প্রসব করলেন। তা দেখে সন্তুষ্ট হলেন সুধর্মা। বিষয়ে আসক্ত না হয়ে নিরাসক্ত চিত্তে সুখভোগ করে যেতে লাগলেন। কিন্তু সুদেহার মনে ঈর্ষা জাগল। তাঁর মন কোমল মন কঠোর ও শাণিত অস্ত্রের মত তীক্ষ্ণ হয়ে উঠল। তিনি ঘুষ্মার উপর প্রভুত্ব করতে লাগলেন। সকলেই পুত্রবতী ঘুষ্মা ও তাঁর পুত্রের প্রশংসা করল। সেই প্রশংসা শুনে সুদেহার মন দুঃখের আগুনে জ্বলতে থাকল। ঘুষ্মার পুত্র দিনে দিনে বড় হয়ে উঠল। অবশেষে সে বিবাহযোগ্য হয়ে উঠলে সুধর্মা এক সুলক্ষণা ব্রাহ্মণ কন্যার সঙ্গে পুত্রের বিবাহ দিলেন।

সুধর্মা তাঁর দ্বিতীয় পত্নী ঘুষ্মার সঙ্গে পরম সুখে দিন কাটাতে লাগলেন। কিন্তু সুদেহার দুঃখ বেড়ে গেল। সুদেহা ভাবলেন,  আমার অন্তরের জ্বালা কখনই দূর হবে না। এ জ্বালা তখন দূর হবে যখন আমি ঘুম্মার চোখে জল দেখতে পাবো। এইভাবে ঘুষ্মার প্রতি তাঁর ঈর্ষা এক প্রবল হিংসায় পরিণত হল। তিনি একদিন রাত্রিকালে ঘুষ্মার নিদ্রিত পুত্রকে ছুরিকাঘাতে বধ করলেন। তার মস্তক ছেদন করে মৃতদেহটিকে সেই পুকুরে নিক্ষেপ করলেন।"

পরদিন সকাল বেলায় ঘুষ্মার পুত্রবধূ শয্যায় রক্ত ও কিছু ছিন্ন দেহাংশ দেখে তার শ্বাশুড়ী ঘুষ্মাকে বলল, “ মা, তোমার পুত্র কোথায়? শয্যায় এসব কী দেখছি?”

 ঘুষ্মা তখন একমনে শিবপুজায় রত ছিলেন বলে এই দুঃসংবাদ শুনেও কিছুমাত্র চঞ্চল হলেন না, এক‌ই রকম ভাবে সুধর্মাও এতটুকু বিচলিত না হয়ে নিজ ধর্মকার্যে রত হলেন এরপর দুপুরে ঘুষ্মা শিবপুজা শেষ করে পুত্রের ঘরে এসে তার রক্তাক্ত শয্যা দেখলেন, এতেও তিনি কিছুমাত্র দুঃখিত বা বিচলিত না হয়ে চিন্তা করতে লাগলেন, "ঈশ্বরই আমাকে পুত্র দান করেছিলেন। ঈশ্বরই আবার তাকে গ্রহণ করলেন। মালাকার যেমন এক সূত্রে বহুফুলকে যুক্ত করে মালা গাঁথে , তেমনি ঈশ্বর আত্মীয়তার সূত্রে এক মানুষকে অন্য সব মানুষের সঙ্গে যুক্ত করেন,  আবার কালক্রমে তিনিই তাদের বিযুক্ত করেন। সুতরাং ঈশ্বরের পরম ইচ্ছাতেই মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগ ও বিয়োগ ঘটে। এই তত্ত্বজ্ঞান দ্বারা পুত্রশোকের কথা ভুলে গিয়ে এক গভীর প্রশান্তি লাভ করলেন তিনি তাঁর অন্তর আত্মার মধ্যে।”

প্রতিদিনকার মত ঘুষ্মার মধ্যে নিত্য কার্যের কোনো ব্যাঘাত দেখা গেল না, তিনি সেদিন মাটির যে শিবলিঙ্গটির পূজা করেছিলেন, সেটি সেই পুকুরে বিসর্জন দিতে গেলেন, এর আগে রোজ‌ই তিনি এই পুকুরে শিবলিঙ্গ বিসর্জন দিতেন, প্রায় লক্ষাধিক শিবলিঙ্গ এখানে বিসর্জিত হয়েছিল,  তবে এইদিন কিছু অভিনব ঘটল।

শিবপুরাণ অনুযায়ী, “শিবলিঙ্গ বিসর্জনের পর ঘুষ্মা যখন পুকুর থেকে উঠে আসছিলেন,  তখন সহসা দেখলেন সেই পুকুরের নিকট তার মৃত পুত্র জীবিত অবস্থায় সেই পুকুরের পাশেই আছে। পুত্র তার কাছে এসে বলল, “ মা,  আমি মৃত্যুমুখে পতিত হয়েও পুনরায় জীবিত হয়েছি। সদ্য মৃত পুত্রকে জীবিত দেখেও কিছুমাত্র আনন্দিত বা দুঃখিত হলেন না ঘুষ্মা। তাঁর চিত্তে কোন বিকার জাগল না। এমন সময় ভগবান শিব জ্যোতির্ময় মূর্তিতে তার সামনে নিজেকে প্রকাশ করে বললেন,  “হে বরাননা , আম তোমার প্রতি প্রসন্ন হয়েছি। বর প্রার্থনা কর। পাপীয়সী সুদেহা তোমার পুত্রকে নিধন করেছে। আমি ত্রিশূলদ্বারা তাকে বধ করব।”

 তখন ঘুষ্মা বর প্রার্থনা করে বললেন,  “হে প্রভু,  আমার ভগ্নীতুল্য সুদেহাকে রক্ষা করুন।” শিব বললেন,  “সুদেহা তোমার অপকার করেছে। কেন তুমি তার উপকার করবে?”

যাইহোক , ঘুম্মার এই মহানুভবতায় বিস্মৃত ও সন্তুষ্ট হয়ে তার প্রার্থনা রক্ষা করে তাঁকে আর এক বর চাইতে বললেন। তখন ঘুষ্মা আরেক বর প্রার্থনা করে শিবকে বললেন, “হে প্রভু,  যদি আমার প্রতি প্রসন্ন হয়ে থাকেন,  আপনি লোকহিতের জন্য এই স্থানে অবস্থান করবেন।” ভগবান শিব ঘুষ্মাকে অন্য বর প্রার্থনা করতে বললেও তিনি সেই একই প্রার্থনা করলেন। তখন শিব বললেন,  “ঠিক আছে , আমি এই স্থানেই অবস্থান করব। তোমার নাম অনুসারেই আমি ঘুষ্মেশ্বর নামে প্রসিদ্ধ হব।”

এই জলাশয়ে অসংখ্য শিবলিঙ্গ পতিত হয়েছে বলে এই জলাশয় তড়াগ শিবালয় নামে প্রসিদ্ধ হবে।" শিব আরও ঘুষ্মাকে বললেন, “তোমার বংশ কখনও লোপ পাবে না। তোমার বংশে চিরকাল একটি করে পুত্র সন্তান হবে। তোমার বংশের সব পুত্রগণ তোমার এই পুত্রের মতই ধার্মিক ও বিদ্বান হবে এবং তাদের স্ত্রীরাও সকলে ধর্মশীলা ও গুণবতী হবেন।”

এই বলে শিব লিঙ্গরূপ ধারণ করলেন। সেই থেকে সেই স্থান তড়াগ শিবালয় নামে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে। তখন সুধর্মা ও ঘুষ্মা সেই জ্যোতির্লিঙ্গকে প্রণাম ও প্রদক্ষিণ করলেন এবং সুদেহার পাপ মোচনের তাকেও সেখানে এনে তাকে দিয়ে শিবপুজো করালেন। সুদেহার‌ও পরিবর্তন ঘটল আর সবাই মিলে সুখে জীবন কাটাতে থাকলেন। শিব পুরাণে ঘুষ্মেশ্বর লিঙ্গের মাহাত্ম্য কথা হিসেবে বলা হয়েছে, 'এই জ্যোতির্ময় শিবলিঙ্গকে দর্শন করলে তৎক্ষণাৎ সমস্ত পাপ হতে মানুষ মুক্ত হয়।'

উল্লেখ্য , শিবপুরাণের জ্ঞান সংহিতার ৩১ তম অধ্যায়ে এই কথা বর্ণিত আছে। শুধুমাত্র পুত্র সন্তানের জন্মের ফলেই যে পিতা-মাতার আত্মার মুক্তি হয় না, আত্মার দ্বারাই আত্মার মুক্তি হয় সুধর্মার মধ্য দিয়ে তা বলা হয়েছে আর নারী যদি ঘুষ্মার মত ভক্তিমতী হয়, তাহলে সে যে তার নিজের বংশের মুক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে তাও বর্ণিত আছে এখানে। অর্থাৎ সন্তান কন্যা হোক অথবা পুত্র সেটা আবশ্যিক নয়, আবশ্যিকতা হল সে ভক্ত কিনা!

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...