গরমের রূপটান

আরামের শীত বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে পাড়ি দিয়েছে নিজ ভূমে। বসন্ত এসেছে মানব দরবারে। এবারে শীতেও  আমরা ঝড় -বৃষ্টির  আমেজ পেয়েছি, যা এখনও বিদ্যমান। এরপর আসতে চলেছে গ্রীষ্ম কাল সেই সময় আমাদের যথেষ্টভাবে খেয়াল রাখতে হয় শরীরের তথা সঠিকভাবে রূপচর্চা করতে হয়, নিজেদের ত্বক-চুল ঠিক রাখার জন্য। জিয়ো বাংলার তরফে তাই কয়েকটা টিপস রইল আপনাদের জন্য।

১) এস পি এফ ১৫ বা তার বেশি মাত্রার এস পি এফ ব্যবহার করবেন। এগুলি স্পেকট্রাম কভারেজ সম্পন্ন। এগুলি সারাবছর ব্যবহার করা যায়। এগুলি দুই ধরনের অতি বেগুনি রশ্মি শোষণ করতে পারে। সানস্ক্রিন যে শুধুই গরমকালে দরকার তেমনটা নয়, শীত এবং বর্ষাতেও এর দরকার আছে।

২) যাঁদের ত্বক অতিমাত্রায় তৈলাক্ত বা ভীষণ ঘাম হয় যাঁদের তাঁরা ত্বকে সান স্ক্রিন বা সান ব্ল লাগিয়েই বেরিয়ে পড়তে পারেন। অন্যরা ২০-২৫ মিনিট পরে বেরোবেন।

৩) ঠোঁটের কথাও ভুললে চলবে না। রৌদ্ররোষে ঠোঁটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই চাই ১৫ এস পি এফ বা তার বেশি মাত্রার সান স্ক্রিন ওয়ালা লিপবাম। সান স্ক্রিন ওয়ালা লিপ জেলও ব্যবহার করা যেতে পারে। মাথায় রাখবেন কোনওটিতে যেন অ্যালকোহল না থাকে।

 ) গরমকালে সানগ্লাস ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সানগ্লাস শুধুই যে ফ্যাশনের অনুষঙ্গ তা কিন্তু নয়। আপনার চোখদুটিকে আরাম দিতে এর জুড়ি মেলা ভার। সানগ্লাস কিনলেই হল না। দেখে নিতে হবে তাতে ‘আলট্রা ভায়োলেট প্রোটেকশন’ আছে কিনা। মিররড সানগ্লাস নৈব নৈব চ। এ ছাড়াও চোখের পেশীগুলিকে আরাম দিতে চোখের সব ধার দিয়ে এক্সট্রা ভার্জিন আমন্ড অয়েল বা কোল্ড জেল প্যাক দিয়ে ম্যাসাজ করুন। 

 ৫)  গরমকালে কাজল এড়িয়ে চলুন। আই মেক আপের জন্য প্যাস্টেল শেড ব্যবহার করুন। তা ছাড়াও লেমন, পিচ, লাইম গ্রিন, পেস্তা শেডও ব্যবহার করতে পারেন। মন্দ লাগবে না।

৬) এবার আসি চুলের কথায়। চুলের গোড়ায় এই সময় খুব ঘাম হয়। ফলে, খুশকির অত্যাচারও বাড়ে। বাজার চলতি অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পু তো অনেক আছে। তবে, খুশকি তাড়ানোর সহজ টোটকা উপায় হল-  আধ কাপ জলে এক চা চামচ কর্পূর মেশান। এবার সারা মাথায় সেটা ঢেলে নিন। চুলটা ভাল করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এরপর আঁচড়ে নিন চুলটা। এই সময় সপ্তাহে একদিন হেনা করুন। চুল ভাল থাকবে। ‘

৭) নিয়মিত শ্যাম্পু করবেন চুলে। যারা প্রতিদিন রাস্তায় বেরোন তাঁরা তো অবশ্যই করবেন।

৮) ঘামের গন্ধ কমাতে স্নানের জলের সঙ্গে এক কাপ ভিনিগার বা কর্পূর মিশিয়ে স্নান করুন।

৯) গরমকালে দু’বার স্নান মাস্ট।

১০) রোদে পোড়ার হাত থেকে নিজের হাত দুটিকে বাঁচাতে সুতির ফুলস্লিভ পোশাক পরুন।

 

এই সময় ত্বকের যত্ন নেওয়ার কয়েকটি রসদ

১) রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের মেরামতিতে আলুর রস, চন্দনের গুঁড়ো, লেবুর রস মেশানো পেস্ট সারা মুখে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা বাদে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর তুলো দুধে ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। তারপর ঠাণ্ডা জলে আবার মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কামাল।

২) দুধের সঙ্গে আমন্ড পেস্ট, গোলাপ জল মিশিয়ে সেটিকে ক্লেনজার হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন।

৩) সানবার্ণ হওয়া জায়গায় শশার রস লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।

৪) ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার পাতা চিরে সেই জেল হাতে, গলায়, কোমরে, পিঠে সর্বত্র লাগালে রোদে পোড়া জায়গা সেরে যাবে আবার রোদে পোড়ার হাত থেকে রেহাইও মিলবে।

৫) ত্বকের জৌলুস ফেরাতে শশার রস ব্যবহার করুন।

এই সব কিছুর সঙ্গে অতিমাত্রায় জল খেতে হবে। পেট পরিষ্কার রাখতে হবে। নাহলে ত্বক আর চুল কোনওটাই ঝকঝকে হবে না। পাশাপাশি এই ঋতুর উপকারী ফলগুলির কথাও ভুললে চলবে না। তা হলেই আর ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্য নিয়ে  অহেতুক চিন্তা থাকবে না। 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...