প্লাস্টিক জমা দিলে চাল দেবে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন

নাগরিকদের জন্য ‘এক্সচেঞ্জ অফার’ চালু করেছে গুরুগ্রামের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। শহরকে প্লাস্টিক ফ্রি করতে এ এক অভিনব ভাবনা। নাগরিকরা প্লাস্টিক সংগ্রহ করে জমিয়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে জমা দিলে, সেই পরিমান চাল দেওয়া হবে।

গুরুগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট আউট লেটেই এই সুযোগ মিলবে। রাস্তা ঘাটে যারা কাগজ এবং প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজ করে তারাও এই ‘এক্সচেঞ্জ অফার’ এর সুবিধা পাবে। তারা দৈনিক গড়ে প্রায় ৫-৬ কেজি প্লাস্টিক দ্রব্য সংগ্রহ করে থাকে।

সংগৃহীত প্লাস্টিক রিসাইকেল করা হবে। গুরুগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের জয়েন্ট কমিশনার ইন্দ্রজিৎ কুলহারিকা জানিয়েছেন, রাস্তা তৈরি কাজে ব্যবহার করা হবে ওই প্লাস্টিক।

গত রবিবার এভাবে প্রায় ৫০ কেজি চাল বন্টন করা হয়েছে। প্রত্যেক অঞ্চলে গুরুগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আউটলেট চালু করা হবে। প্লাস্টিক সংগ্রাহকদের সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা।

গুরুগ্রামকে প্লাস্টিকমুক্ত করে পরিবেশ এবং ভূমি সংরক্ষণের জন্য এই প্রকল্প খুবই জরুরি।   

বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহ করার উদ্যগ নেওয়া হয়েছে। যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলার জন্য নাগরিকদের প্রতি আবেদন করা হচ্ছে নিয়মিত। নিয়মিত গ্রহণ করা হচ্ছে সচেতনতা কর্মসূচী। গুরুগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এজন্য একটি আলাদা ইউনিট চালু করেছে। বাড়ি বারি থেকে বর্জ্য স্নগগ্রহ করে রি-সাইকেল করা হবে। এত কিছু সত্ত্বেও এখনও গুরুগ্রামের রাস্তায় জঞ্জাল- বর্জ্য- প্লাস্টিক দ্রব্য পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আধিকারিকদের মতে নিয়মিত এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি ছাড়া নাগরিকদের মধ্যে রাতারাতি বদল আনা সম্ভব নয়।

তবে তারা এক বাক্যে জানিয়েছেন রাস্তার অসংগঠিতভাবে যারা প্লাস্টিক স্নগগ্রহ করে থাকে তারা এই প্রকল্পে চমপপ্রদ কাজ করছে।

 গুরুগ্রামের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার অমিত ক্ষেত্রি, জানিয়েছেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আগামী পৃথিবীতে যাতে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারে তার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জরুরী। তাকে কোনও ভাবেই হাল্কা চালে নেওয়া উচিত নয়। তাতে ক্ষতি আমদেরই।’

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...