কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এ বারে প্রমোদনগরের ভাগাড়ের বর্জ্য থেকে জৈব গ্যাস অর্থাত বায়ো-মিথেন গ্যাস এবং বিদ্যুত শক্তি তৈরী করার কথা ভাবছে| বিমানবন্দর থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ডানকুনির দিকে যেতে যাত্রীরা ধোঁয়ার চোটে জেরবার| পরিবেশবিদরা বলছেন, ভাগাড়ের বর্জ্যে আগুন লেগেই দিনরাত গলগল করে ধোঁয়া বেরোয়| তাই এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নড়ে চড়ে বসেছে কে-এমডিএ| সংস্থার এক কর্তার মতে ওই ভাগাড়ে ছ’টি পুরসভার জঞ্জাল ফেলা হয়| ফলে কোনো একটি পুরসভার পক্ষে এই দুষণ রোধ করা সম্ভব নয়| কে-এমডিএ-র একটি সূত্রের মতে, এখানে তৈরী করা হবে তরল বর্জ্য শোধন কেন্দ্রও| এই কেন্দ্রে দৈনিক ৩০ কিলোলিটার বর্জ্য শোধন করা যাবে| পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র আরো এক ধাপ এগিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন| তাঁর মতে জঞ্জালের পাহাড়ে যেভাবে চিল সহ নানা পাখি উড়ে বেড়ায়, তা ভবিষ্যতে বিমানবন্দরের পক্ষেও বিপজ্জনক হতে পারে| তবে কিছু পরিবেশবিদদের মতে, ভাগাড়ে বৈদ্যুতিন বর্জ্য সহ নানা ধাতব জিনিস থাকে| সেগুলি পৃথক না করে চুল্লিতে ঢোকালে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হবে| তাতে বিপদ আরো বাড়তে পারে| তাই সব দিক খতিয়ে দেখে সঠিক পরিকল্পনা করে তবেই এগোনো উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা| অনেকে আবার গোটা প্রকল্পটির রুপায়ন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন| কিন্তু কে-এমডিএ সূত্রের খবর, কিভাবে প্রকল্প করলে তা লাভজনক হবে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে| গোয়া-সহ দেশের যেখানে যেখানে এই ধরনের প্রকল্প রয়েছে, সেগুলিও দেখে এসেছেন কর্তারা| এ রাজ্যের বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে| আসল কথা হল, পরিকল্পনা যাতে কার্যে পর্যবসিত হয়, সেই চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখা হবেনা|