আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তীর্থযাত্রীদের অন্যতম বড় উৎসব গঙ্গাসাগর মেলা। এবার আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার বিপুল ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করতে চলেছে রেলওয়ে প্রশাসন। এই বিষয়ে শিয়ালদহ ডিআরএম কনফারেন্স রুমে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মেলা চলাকালীন বিপুল জনসমাগম সামলানোর জন্য বিশেষ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
হাইলাইটসঃ
১। ২০২৫ সালের গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জানুযায়ী
২। এই সময় মোট ৭২টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে
৩। কাকদ্বীপে ৫টি ও নামখানায় ৫টি টিকিট কাউন্টার চালু হবে
২০২৫ সালের গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ১৫ জানুযায়ী। এই সময় বিপুল জনসমাগম ঘটে গঙ্গাসাগরে। সেই কারণে ১২ থেকে ১৬ই জানুযায়ী পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সময় মোট ৭২টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এই ট্রেনগুলির তালিকা ও সময়সীমা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও স্টেশন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে বিশেষ ট্রেন পরিষেবা সংক্রান্ত ঘোষণা করা হবে।
মেলায় আগত দর্শনার্থীদের অতিরিক্ত ভিড় সামলানোর জন্য বাড়তি টিকিট কাউন্টারেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে। কাকদ্বীপে ৫টি ও নামখানায় ৫টি অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার চালু করা হবে এবং ২৪x৭ পরিষেবার জন্য অস্থায়ী বুকিং ক্লার্ক নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও কাকদ্বীপে ১৫টি, নামখানায় ৫টি মোবাইল ইউপিএসের ব্যবস্থা থাকবে।
‘মে আই হেল্প ইউ’ বুথগুলির সাহায্যে জরুরি পরিস্থিতিতে সাহায্যের ব্যবস্থা থাকবে। শিয়ালদহ সাউথ, প্রিন্সেপ ঘাট, কাকদ্বীপ এবং নামখানা স্টেশনগুলোতে এই বুথ চালু করা হবে। এখানে জরুরি সহায়তা ছাড়াও পুলিশ স্টেশন, হাসপাতাল ও ফায়ার ব্রিগেডের একটি তালিকা প্রদর্শিত করা হবে। এছাড়াও, বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা পাকা করতে শিয়ালদহ সাউথ, প্রিন্সেপ ঘাট, কাকদ্বীপ ও নামখানা স্টেশনে আরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করা হবে এবং সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট এবং সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্স থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হবে। পাশাপাশি ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরপিএফ কর্মীরা জিআরপি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলে কাজ করবে। এছাড়াও, শিয়ালদহে ২৮টি এবং নামখানায় ২২টি অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।
এই বিষয়ে এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কথাও মাথায় রেখেছে কর্তৃপক্ষ। মেলা চলাকালীন প্রধান স্টেশন এবং চারপাশের এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হবে ও তীর্থযাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জলের সরবরাহ থাকবে। এছাড়াও শিয়ালদহ, কাকদ্বীপ ও নামখানায় পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট ও ডাক্তারসহ চিকিৎসা দল মোতায়েন থাকবে।