রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে পৌষ সংক্রান্তি. শীতের শেষ ও বসন্তের সূচনা হয় এই মকর সংক্রান্তি দিয়ে। বাঙালিদের কাছে এক অন্যতম উৎসব হল মকর সংক্রান্তি। সমগ্র ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে পালন করা হয় এই উৎসব। যেমন মধ্য-ভারতে এই উৎসব কে বলে ‘সুকরত’ আবার অসমে বলে ‘বিহু’, উত্তর-ভারতে এর পরিচিতি 'লোহরি', আবার দক্ষিন ভারতে 'পোঙ্গাল', এছাড়াও বাংলা, বিহার ও ওড়িশায় এই উৎসবটি 'সংক্রান্তি' নামেই বেশী পরিচিত। কথিত আছে উৎসবটি প্রধানত সূর্য দেবতাকে তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে। এই উৎসবের আরও একটি প্রধান বিষয় বস্তু হল ঘুড়ি। রঙবেরঙের ঘুড়ি যেন আকাশের সৌন্দর্যকে আরও দ্বিগুণ করে তোলে। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক, সকলেই মেতে ওঠে ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতায়। এই দিন বহু পুণ্যার্থী পূণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে গঙ্গাসাগরেও গিয়ে থাকে। তাই সকাল থেকে সমগ্র সমুদ্র সৈকত জুড়ে বিপুল জনসমুদ্র। সাগরে ভক্তদের ঢেউ। শুরু হয়ে গিয়েছে পূণ্যস্নান। শীতের গঙ্গাসাগরে এখন মিলন মেলার উষ্ণতা। হাজার হাজার পুণ্যার্থীর গন্তব্য এখন একটাই। সকাল থেকে গঙ্গাসাগর মেলা ঘিরে কলকাতার বাবুঘাটেও নেমেছে মানুষের ঢল। মেলা উপলক্ষ্যে গঙ্গাতীরবর্তী এলাকাকে নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। থাকছে স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থাও। কলকাতা থেকে থাকছে বহু সরকারি ও বেসরকারি বাস। জলপথে থাকছে লঞ্চ ও ভেসেল পরিষেবা। সব মিলিয়ে 'মকর সংক্রান্তি'-তে গঙ্গাসাগর জমজমাট।নতুন বছরের শুরুতে আনন্দে মেতে উঠেছে সমগ্র রাজ্য তথা দেশের মানুষ।