গামছা শার্টে গোটা পৃথিবীর ফ্যাশনপ্রিয় মানুষের নজর কেড়েছিলেন শাহরুখ খান। অবশ্য এক্ষেত্রে তিনি ট্রেন্ডসেটার-এর বদলে ‘ফলোয়ার’র ভূমিকাতেই ছিলেন। কলকাতা সেসময় মেতে উঠেছিল ‘গামছা’ফ্যাশনে। গামছা শাড়ি, গামছা গয়না, গামছা দিয়ে ফ্যাশন অ্যাকসেসারিজ।
বৈশাখে বাড়ে গামছার চাহিদা। পয়লা বৈশাখের খাতাপুজো থেকে নেহাত উপহার-গামছার চিরচেনা ব্যবহার বদলাতে চলেছে এই বৈশাখে। এবার গৃহসজ্জাতেও জমি দখল করেছে গামছা।
বেডকভার, বালিশ–কুশনকভার, পর্দা, রানার, প্লেসম্যাট, সোফার কভার, ফ্লোরম্যাটসহ বিভিন্ন ধরনের গৃহসজ্জাসামগ্রী এখন তৈরি হচ্ছে গামছা দিয়ে। কখনো পুরো গামছা জোড়া লাগিয়ে, আবার কখনও নানা রঙের গামছার ছোট ছোট টুকরো জুড়ে জুড়ে তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য।
বাতিল জিনিস রিসাইকেল করার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে গামছা। গামছা দিয়ে রশি বানিয়ে সেটা দিয়ে তৈরি করতে পারেন ছোট-বড় ঝুড়ি, কোস্টার ও ম্যাট। কখনো গামছার হ্যাঙ্গিং ম্যাটও বানানো যেতে পারে।
দেশের বিভিন্নপ্রান্তে বিভিন্ন রং ও বৈচিত্রের গামছা মেলে। তবে লাল টুকটুকে গামছা বাংলার নিজস্ব। প্রাদেশিক গামছা দিয়েও নতুনত্ব আনতে পারেন অন্দর সজ্জায়।