ইসরো জানাল, চন্দ্রযান-৩ এবং গগনযান-এর প্রস্তুতি শুরু

 

নতুন বছরে ইসরো নতুন ঘোষণা করল। গোটা ২০২০ জুড়ে একগুচ্ছ প্রকল্প রয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর। গগনযানের জন্য চার জন মহাকাশচারীকে বেছে নেওয়া হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইসরো। এছাড়াও নতুন বছরেই চাঁদে পাড়ি দেবার জন্য চন্দ্রযান-৩ এর সাজ সজ্জা তৈরী হয়ে যাবে। ১৪-১৬ মাস সময় লাগবে এর পেছনে।

                        ফলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ এই যাতে চন্দ্রযানকে চাঁদে পাঠানো যায়, তার কাজ এগিয়ে রাখা হবে। প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দও করা হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান। এছাড়াও ইসরো আরও ২৫টি স্পেস মিশনের ওপরে কাজ করবে। যেখানে চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারের নামার কথা ছিল, সেখানেই ল্যান্ড করবে চন্দ্রযান-৩। এরপরের মিশন ২০২২ এ মিশন গগনযান। ভারত মহাকাশে মানুষ পাঠাবে এই মিশনের মাধ্যমে। তার জন্য ৪ জন মহাকাশচারীকে বাছাই করা হয়েছে। তাও শিবন ঘোষণা করলেন বছরের শুরুর দিন। 'ম্যানড মিশনে'র জন্য ইসরোর একটি অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেখানে চার নভোশ্চরকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বায়ুসেনার বিভিন্ন বিভাগে রয়েছেন। এই চারজন নভোশ্চরকেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষন দেবেন রাশিয়ার মহাকাশবিজ্ঞানীরা। তবে তাঁদের নাম জানানো হয়নি। ওই নির্বাচিত মহাকাশচারীরা খুব শিঘ্রই রাশিয়ায় যাবেন প্রশিক্ষণ নিতে।

                   এই গগনযানের জন্য টেস্ট ফ্লাইট এই বছরই মহাকাশে পাঠানো হবে। মহাকাশ গবেষণায় আরও উন্নয়নের জন্য ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। গগনযানের মহড়ার জন্য রাশিয়াকে বিশেষভাবে সাহায্য করবে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস। গগনযানের যাত্রা হবে তিনটি পর্যায়ে। তার মধ্যে দু'টি হবে আনম্যানড মিশন এবং একটি হবে ম্যানড মিশন। মানুষ নিয়ে গগনযান মহাকাশে পাড়ি দেবে ২০২২ সালে। মস্কো ইতিমধ্যেই প্রস্তাব দিয়েছে, হাতেকলমে ভারতীয় নভোশ্চরদের প্রশিক্ষণ দিতে তারা প্রস্তুত। রুশ মহাকাশযানে এক বা একাধিক ভারতীয় নভোশ্চরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের রাশিয়ান অরবিট সেগমেন্টে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যাতে গগনযানে মহাকাশযাত্রার আগে থেকেই শারীরিক এবং মানসিক চাপ সামাল দিতে পারেন ভারতীয় নভোশ্চরেরা।

                                   ২০২০ থেকেই আগামীদিনে ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইতিহাসে নতুন নজির গড়বে ইসরো। আগামী দিনে আরও বড় মহাকাশযাত্রার ক্ষেত্র তৈরী হবে ২০২০ সাল থেকেই বলে জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। এ ছাড়াও দেশের প্রতিরক্ষায় ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) সঙ্গে যৌথভাবে উন্নত প্রযুক্তির নজরদারি স্যাটেলাইট লঞ্চ করার কথাও আছে ইসরোর। কাজেই চন্দ্রযান এবং গগনযানের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...