ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটিতে প্রথম ভারতীয়

ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটির ৩৬০ ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলার নাম যুক্ত হল। রয়্যাল সোসাইটির ফেলোশিপ পেলেন ভারতের গগনদীপ কঙ্গ। ছাপান্ন বছর বয়সী এই মহিলা গবেষক ফরিদাবাদের ট্রান্সন্যাশনাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর। শিশুদের অগ্ন্যাশয়ে বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে তাঁর একাধিক গবেষণা রয়েছে

মূলত তাঁর গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই রোটা ফাইরাস আর টাইফয়েডের নানা ভাইরাস আবিষ্কার হয়েছে। গগন দীপ কঙ্গ আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। গবেষণামূলক কাজে অসাধারণ প্রজ্ঞার জন্য ইনফোসিস পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

রয়্যাল সোসাইটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানান হয়েছে, ইনফেকশন, ফিজিক্যাল ও কগনিটিভ ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ভারতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গগনদীপ কঙ্গ উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। সেই কাজের স্বীকৃতিতে তাঁকে এই সম্মান প্রদান করা হয়।

গগনদীপ কঙ্গ ছাড়াও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনন্ত পারেখ রয়্যাল সোসাইটির ফেলোশিপ পেয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই অধ্যাপক মের্টন ক্লেজের ফেলো পদেও রয়েছেন| শরীরের একটি কোষ অন্য কোষের সঙ্গে কীভাবে সংযোগ ঘটায় সে বিষয়েই তাঁর গবেষণা। দেহের বিভিন্ন রাসায়নিক হরমোন, জিনে তাদের বহিঃপ্রকাশ, অ্যাজমা, অ্যালার্জির উপর তাঁর গবেষণা কীভাবে কার্যকর হতে পারে তাই নিয়েও কাজ করে চলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, জগদীশ চন্দ্র বসু ও সি ভি রমণ এর আগে ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন।

রয়্যাল সোসাইটি পৃথিবীর প্রাচীনতম মেধা প্রতিষ্ঠান। পুরো নাম দ্য রয়েল সোসাইটি অব লন্ডন ফর ইম্প্রুভিং ন্যাচারাল নলেজ। ১৬৬০ সালে গড়ে উঠে। সদর দফতর লন্ডন। বিজ্ঞানী, গবেষক, দার্শনিক, অধ্যাপকরা এর সদস্য।

একদম শুরুতে কয়েকজন পদার্থবিদ আর দার্শনিক নিয়ে সোসাইটি গড়ে ওঠে।

ভু বিখ্যাত মানুষ সোসাইটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আইজ্যাক নিউটন।

১৯০২ সালে রয়্যাল সোসাইটি প্রথম মহিলা ফেলোকে মনোনয়ন দেয়। মহিলার নাম ছিল মার্জুরি স্টিফেনসন। প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় সোসাইটিকে। প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৫ সালে ৩৩৬ জন ফেলোর সমর্থনে সোসাইটি প্রথম মহিলা ফেলো নির্বাচিত করে।    

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...