সৌন্দর্য্য ধরে রাখার জন্য ত্বকের পিছনে সারাবছরই প্রায় লেগে থাকতে হয় সকলকে। একটু অবহেলা করলেই এসে হাজির হয় ত্বকের নানা সমস্যা যেমন কখনো শুষ্কভাব তো কখনো ব্রণ আবার কখনো বা তৈলাক্ত ভাব। পরিবেশের এই বাড়বাড়ন্ত দূষণের কারণে এই সব সমস্যা আরও বেশি হচ্ছে আজকাল। ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করার জন্য বিউটিশিয়ানেরা ভরসা করছেন ফেসিয়ালের উপর। কিন্তু কতদিন অন্তর ব্যবহার করা যায় এই ফেসিয়াল? আর এই ফেসিয়ালের পর কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ত্বকের জেল্লাকে বাড়ানোর জন্য চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ফেসিয়াল যে সংস্থারই হোক না কেন এবং তার যতই আলাদা আলাদা গুণাগুণ লেখা থাকুক না কেন ফেসিয়ালের সমস্ত সামগ্রী ত্বকের ভিতর থেকে ধুলোময়লা টেনে বের করে এনে ভিতরের সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে মাসে অন্তত একবার ফেসিয়াল করা উচিত। তাঁরা জানালেন, ফেসিয়ালের পর আর কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
ফেসিয়ালের পর মন ভালো রাখা খুব প্রয়োজন। ফেসিয়াল করার পরই যদি কান্নাকাটি করেন তবে রিঙ্কল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রূপচর্চাবিদরা রাতে ঘুমানোর আগে ফেসিয়াল করার পরামর্শ দেন। ফেসিয়ালের পর ঘুমানো ভালো। এতে ত্বক রেস্ট পায়। ফেসিয়ালের পরই গ্রিন টি বা মধু খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয়। ফেসিয়ালের সময় মুখের ত্বকের সমস্ত রোমকূপগুলি খুলে যায় তাই ফেসিয়ালের পর পরই কোনোরূপ মেকআপ করা উচিত নয় এতে রোমকূপ আবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা থেকে যায়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সম্পূর্ণ দিনটি মেক আপ ছাড়া থাকা যায়। এর ফলে ত্বকের রোমকূপ খোলা থাকে এবং কোষগুলিতে অক্সিজেন চলাচল ঠিক থাকে।
বিউটিশিয়ানরা বলেন, পার্লার থেকে ফেসিয়াল করে বেরিয়েই কড়া রোদে না বেরোতে। এমনকি প্রাকৃতিক ধুলো থেকেও ত্বককে সেই সময় বাঁচিয়ে চলতে হয়। রূপচর্চার অন্যতম পদক্ষেপ হল, ঘুম। ফেসিয়ালের পর পারলে এক ঘন্টা শান্তিতে ঘুমিয়ে নিন। ফেসিয়ালের উপকারিতা সঙ্গে সঙ্গে পাবেন। ত্বকের ডাক্তারদের মতে, ফেসিয়াল করার পর যদি হালকা গরম জলে স্নান করা যায় তাহলে শরীরে ক্লন্তির ছাপ মুখে পড়তে পারে না। তবে মুখটি তারা ঠান্ডা জলে ধোয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন।
তাহলে জানলেন ফেসিয়ালের নানা জানা অজানা কথা। এবার থেকে ফেসিয়াল করলেই মেনে চলুন এই ছোট্ট ছোট্ট টিপসগুলি এবং ত্বকের জেল্লা দিনের পর দিন বাড়িয়ে তুলুন।