কাণ্ডটা ১৮৩৭ সালের। সে যাকে বলে এক ধুন্ধুমার কাণ্ড, সেও আবার দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে। ঘটনাটা ঘটেছিল চুঁচুড়ায়, বারোয়ারি দুর্গাপুজোয়। মাকে মণ্ডপে আনার পর সে-বার এমন বৃষ্টি হল যে, দেবীর প্রতিমা এক্কেবারে গলে জল। আবার প্রতিমা তৈরি হল। পুজোর আয়োজনও শুরু হল। কিন্তু গোল বাঁধল অন্য জায়গায়। রাতারাতি পুজো কমিটি দুটো দলে ভাগ হয়ে গেল। একদল পুজো করতে চাইল বৈষ্ণবমতে, তাঁরা বললেন পুজো হবে ঠিক আছে, কিন্তু বলি হবে না। অন্যদিকে শাক্তপন্থীরা তেরিয়া হয়ে বললেন যে, বলি ছাড়া পুজো হতেই পারে না, করে দেখুক তো দেখি, কার কত গায়ের জো! কাজেই, দু'দলে লাঠালাঠি মারামারি হবার জোগাড় হল। ঝগড়া থামাতে তাঁদের মাঝখানে স্ট্রেইট এসে হাজির হলেন ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি এসে নিদান দিলেন যে, আগে বৈষ্ণবরা পুজো করে ঘট বিসর্জন দিয়ে আসবেন, তারপর বলি দিয়ে একই দেবীকে নতুন করে পুজো করবেন শাক্তরা। তিনি দু'দলের মধ্যে পুজো ভাগ করে দিলেন দু'দিন করে। এক যাত্রায় আমিষ আর নিরামিষ দু'রকম নৈবেদ্যের স্বাদ নিয়ে সে-বার মা দুর্গাও নিশ্চয়ই খুব অামোদ পেয়েছিলেন!