বাবুঘাটে এসে পড়েছেন তাঁরা। কালো কাপড়, লাল কাপড়, রসকলি বৈষ্ণবী থেকে শুরু করে বিভূতি গায়ে নাগাবাবা রমতা যোগীদের অনেকেই। এখনও আসছেন। এ সিলসিলা সারাটা পৌষ জুড়েই চলবে। স্টেট গভারমেন্টের প্যান্ডেল তৈরির কাজ এখনো চলছে, লঙ্গরখানা চালু হতে হতে ন’দশ তারিখ। তাতেও কুছ পরোয়া নেই। নিজের নিজের কম্বল-ত্রিপল খাটিয়ে যে-যার মতো আখড়া বানিয়ে ফেলছেন। ক’দিন এখানে ওয়ার্ম আপ করে গঙ্গাসাগরের পথ ধরবেন। এই বিছুটিমার্কা শীতে ওয়ার্ম লেভেল একটু আপে তুলতে বাবাদের ভরসা ধুনি, ছাই আর ছিলিম। সে-সব জোর কদমেই চলছে। এরই মধ্যে কিন্তু ভক্তের ঢল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বাবাদের পদসেবা আর অন্নসেবার তাৎক্ষনিক ভারও নিচ্ছেন। নগদ দক্ষিণা তো আছেই। বিনিময়ে পাচ্ছেন বাবার পেসাদ কিম্বা চামর ছোঁয়া আশীর্বাদ।
এভাবেই মাঘের আধাআধি অব্দি এক চিলতে গঙ্গাসাগর কলকাতার বুকজুড়ে থেকেই যাবে, যেমনটা প্রতি বছর থাকে...