বিখ্যাত আর্টিস্ট ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকান এই আর্টিস্ট ফেমিনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম মুখ। তাঁর ছবির জন্য যতটা বিখ্যাত ছিলেন, ঠিক ততটাই নজর কেড়েছিল তাঁর ফ্যাশন। ফ্রিদার ছবিতে ভাইব্রেন্ট রঙের ব্যবহার দেখা যেত। ভাইব্রেন্ট রঙ তাঁর সাজসজ্জাতেও। জোড়া আইব্রাও ঘন আর মোটা। ব্রিডস আর জাঙ্ক জুয়েলারি। মাথায় রঙিন ফুল। কপাল ঢাকা ব্যান্ডানা। জোড়া আইব্রাও আর ফেশিয়াল হেয়ার তাঁর সিগনেচার স্টাইল। ফ্রিদার সাজ তাঁর প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছিল। মেক্সিকান আর ইউরোপিয় ঘরানার প্রভাব তো ছিলই তার সঙ্গে রাজনৈতিক আর সামাজিক ইস্যুগুলোকেও তিনি মিলিয়ে দিতেন।
ট্র্যাডিশনাল ভারতীয় সাজেও দেখা গিয়েছে ফ্রিদা কাহলোকে। তেমনই একটি ফটোগ্রাফ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সাদা কালো ফটোগ্রাফে ফ্রিদাকে দুই ভারতীয় মহিলার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় শাড়ি, গয়নায় সজ্জিত একদম অন্য রকম লুক। শাড়ির সঙ্গে মানানসই হেয়ারস্টাইলে।
ফটোগ্রাফের অন্য দুই মহিলা নয়নতারা সেহগাল আর তাঁর বোন রীতা দর।
বিজয়ালক্ষ্মী পণ্ডিতের দুই মেয়ে। সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিজয়ালক্ষ্মী পণ্ডিত। জওহরলাল নেহেরুর বোন।
১৯৪০-এ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে নয়নতারা সেহগালের পরিবার ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িয়ে ছিল। নেহেরু-পণ্ডিত পরিবারের অনেককেই আন্দোলনে যুক্ত না হবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্র মিলত।
ফ্রিদা কাহলো’র সঙ্গে ফটোগ্রাফ প্রসঙ্গে নয়নতারা দেবী জানান, ১৯৪৭ সালে ওয়েলেসলি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হবার পর মেক্সিকো ট্রিপে গিয়েছিলেন।
সেই ট্রিপের হোস্ট ছিলেন ফ্রিদার পরিচিত। তিনিই তাঁদের ফ্রিদার সঙ্গে আলাপ করিয়েছিলেন।
ফ্রিদা তখন তাঁর পৈত্রিক বাড়ি লা কাসা আজুলে থাকতেন। শিরদাঁড়ার সমস্যায় শয্যাশায়ী। পিঠের যন্ত্রণা সামাল দিতে বেশিরভাগ সময় করসেট পরে থাকতে হত।
নয়নতারা দেবী বলেন, “ আমরাই আমাদের একটা শাড়ি ওঁকে পরতে অনুরোধ করেছিলাম। শাড়ি খুব পছন্দ হয়েছিল ওঁর। ফ্রিদা দুটো ছবি উপহার দিয়েছিলেন আমাদের।”