চন্দননগর নামটি আগে উচ্চারিত হত চন্দরনগর বলে। বলা হয় হুগলি নদীর অর্ধচন্দ্রাকৃতির মত বেঁকে যাওয়ার আকৃতি থেকেই এই স্থানের নাম চন্দননগর। আসলে চাঁদের নগর থেকেই চন্দননগর। আবার অনেকের মতে এখানে আগে চন্দন-এর ব্যবসা প্রসিদ্ধ ছিল। তাই চন্দননগর। আবার কেউ কেউ মনে করেন এখানে দেবী চন্ডীর মন্দির ছিল।
এক সময় চন্দননগর ছিল ফরাসী উপনিবেশ। তাই অনেকে সেই সময় এই অঞ্চলটিকে ফরাসডাঙ্গা নামেও অভিহিত করতেন। ইংরেজ শাসিত কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছিল ফরাসি শাসিত চন্দননগর। যেহেতু এখানে ফরাসি শাসিত উপনিবেশ ছিল, তাই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আশ্রয় নিয়েছিল এখানে। এই কারনে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বৈপ্লবিক সংগ্রামের ইতিহাসে চন্দননগর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই স্থানে গড়ে উঠেছে চন্দননগর রেল স্টেশন। হাওড়া থেকে ৪০কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্টেশনটি। এটি ইস্টার্ন রেলওয়ের মেইন লাইনে পড়ে। এই স্টেশনটির উপর দিয়ে বহু এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করে। এছাড়া বহু লোকাল ট্রেন-ও এই স্টেশন হয়ে যাতায়াত করে থাকে প্রতিদিন। তবে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো এবং তার আলোকসজ্জা সমগ্র রাজ্য ব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ। জানা যায় যে, আজ থেকে তিনশো বছর আগে এখানে জগদ্ধাত্রী পূজা শুরু হয়। এরপরে কালে কালে পুজোটি জাঁক জমকপূর্ণ হতে থাকে। তার উপর আবার এখানকার আলোর ব্যবহার এক বিশাল অভিনবত্বের পরিচয় দেয়। আলোর নানা ধরনের অভিনব সমস্ত সাজের জন্য চন্দননগর বেশ বিখ্যাত। এখানে জগদ্ধাত্রী পূজোতে প্রায় ৩৫ ফুটের উঁচু প্রতিমা তৈরী হয়ে থাকে। হুগলি জেলাতে অবস্থিত চন্দননগর রেল স্টেশনটি চন্দননগর সহ সমস্ত পার্শ্ববর্তী এলাকাতে পরিষেবা প্রদান করে থাকে।