ডায়াবিটিসের প্রকোপ সাংঘাতিক মাত্রায় বেড়েছে । খাদ্যভ্যাস , লাইফস্টাইল সবকিছুই এর কারন । অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেবিটিসের দরুন নার্ভের ক্ষতি , পচন ও অঙ্গচ্ছেদ , রেটিনা(চোখ ),কিডনি ,হার্টে ক্ষতি হয় । শুধু শারীরিক বা মানসিক কষ্টই নয় , অসুখটি অত্যন্ত ব্যায়সাপেক্ষ । এর পরীক্ষা -নিরীক্ষা ওষুধ , যত্ন , জটিলতার চিকিৎসা সবেতেই প্রচুর খরচ হয় যা পুরোটাই পরিবারকে বহন করতে হয় । আর সাধারন গরীব মানুষরা এই খরচের ভয়ে চিকিৎসাটাই আর করায় না ডায়াবিটিস একটা বিপাকীয় অসুখ যাতে রক্তে শর্করার পরিমান বেড়ে থাকে । অসুখটি এখনও দুরারোগ্য । হলে আর সারে না । কিন্তু সঠিক চিকিৎসায় ভালো থাকা যায় এবং প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ প্রিডায়াবেটিস অবস্থায় ধরা পড়লে ও সুবন্দোবস্ত নিলে এটা আটকানো সম্ভব ।
ডায়াবিটিস রুগীদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ হল ইনসুলিন । ইনসুলিন একটি হরমোন । এর অভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয় । কোনো ডায়াবিটিস রুগী যাতে এর অভাবে মারা না যায় তার জন্য বিনা পয়সায় ইনসুলিন দেবার ব্যবস্থা করলো কলকাতা ডায়াবিটিস অ্যান্ড এনডোক্রনোলজি ফোরাম । রবিবার গ্রান্ড ওবেরয় কলকাতাতে এই নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে গেল । এই ফোরাম এবার কে এম সি -এর সঙ্গে কোলবোরেশন করে ওখান থেকেও বিনা পয়সায় ইনসুলিন দেবার ব্যবস্থা করেছে। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড: টি কে মুখোপাধ্যায়,ড: রিচার্ড হল্ট, ড:তীর্থঙ্কর চৌধুরী , প্রফেসর ড: অ্যান্ড্রু বোউল্টোন এবং ড :সন্দীপ ভাল্লা। জানা গেল কে এম সি -এর ডাক্তারদের ডায়াবিটিস ,হাইপারটেনশন , সি ও পি ডি এবং থাইরয়েড এর উপর ট্রেনিং দেওয়া হবে । সাধারন মানুষের জন্য এহেন উদ্দ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।