উপনিবেশ গুলির প্রতি নতুন পদক্ষেপ ফ্রান্সের। চন্দনগর ছিল এককালে ফ্রান্সের উপনিবেশ। তাই নিজেদের উপনিবেশ শহর চন্দননগরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্থাপত্যগুলিকে সংস্কারের উদ্যোগ নিল ফ্রান্স। এজন্য চন্দননগর কলেজ থেকে শুরু করে এই স্থানের রেজিস্ট্রি অফিস, চার্চ, কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের ইংরেজি ও ফরাসি বিভাগ, দুর্গাচরণ রক্ষিতের বাড়ি, লিবার্টি গেট সহ মোট ৮টি স্থাপত্যকে কয়েক দফায় পরিদর্শনের পরই ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও হেরিটেজ কমিশনের সদস্য এবং জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকরা চিহ্নিত করেছেন। এরপরে বুধবার চিহ্নিত করা হয়েছে যে স্থাপত্যগুলি তার মধ্যে কলেজ, চার্চ ও রেজিস্ট্রি অফিসের সংস্কার কাজের ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। জানা গিয়েছে, রাজ্য হেরিটেজ কমিশন ও ফ্রান্সের যৌথ তত্ত্বাবধানে এই সংস্কারের কাজগুলি চলবে।
উক্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রে জিগলার বলেছেন, এই প্রাচীন সমস্ত ঐতিহ্যগুলি সংস্কারের কাজ শেষ হলে একদিকে যেমন প্রাচীন স্থাপত্যগুলির সৌন্দর্য বাড়বে, তেমনি সেগুলি পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। তাই যৌথভাবে আমরা এগুলিকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। তাই বুধবার পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার চন্দননগর -এ দুপুর ১২টা নাগাদ ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রে জিগলার, কলকাতায় নিযুক্ত ফরাসি কনসাল জেনারেল ড্যানিয়েল সইদ, প্রখ্যাত চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন সহ ফরাসি প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল আসেন। প্রথমেই এসে তাঁরা চন্দননগর ইন্সটিটিউটে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, মহকুমা শাসক সানা আকতার, চন্দননগর কর্পোরেশনের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু সহ শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এরপরেই কলেজ, চার্চ ও রেজিস্ট্রি অফিসে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রথম দফায় সংস্কারের কাজের সূচনা হয়। এই বিশেষ পরিকল্পনাটি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলতে সংস্কারের পর প্রতিটি স্থাপত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিন তাঁরা।