পাহাড় চূড়ায় বাঙালি

ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে অন্যতম আকর্ষণের একটি বস্তু হলো পাহাড়। আর সেই আকর্ষণের টানেই সমতল ছেড়ে পাহাড়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন প্রচুর বাঙালি পর্যটক। পাহাড়ের নেশাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে দেখা গেছে অনেক মানুষকেই। আজ সেরকমই চারজন মানুষের স্বীকৃতি পাওয়ার দিন।

মঙ্গলবার রাত, এই সময়েই খবর এসেছিলো, পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা যার উচ্চতা ৮৫৮৬ মিটার তার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন পাঁচ বাঙালি পর্বতারোহীরুদ্রপ্রসাদ হালদার, বিপ্লব বৈদ্য, কুন্তল কাঁড়ার, শেখ সাহাবুদ্দিন এবং রমেশ রায় এই পাঁচজন বাঙালি পর্বতারোহী বুধবার খবর দেন তারা শেষমেশ পৌঁছাতে পেরেছেন কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি একটি স্থানে| সোনার বরণ কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রতি বাঙালির আকর্ষণ বরাবরই একটু বেশি। সেই আকর্ষণের টানেই শৃঙ্গে পদার্পন তাঁদের। পাঁচজন যাত্রা শুরু করলেও বুধবার জানা যায়, এঁদের মধ্যে চারজন শৃঙ্গে পৌঁছাতে পেরেছেন কারণ কুন্তল কাঁড়ার পথেই অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকে হেলিকপ্টারে করে নামিয়ে আনা হয়েছে। এজেন্সি পিক কমিশনের অন্যতম এক কর্মকর্তার কথায়, মঙ্গলবার রাতেই কাঞ্চনজঙ্ঘার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে কুন্তলবাবু বাদে বাকি চার বাঙালি পর্বতারোহী। বুধবার সকালে তাঁরা সফলভাবেই শৃঙ্গে আরোহন করেন। শৃঙ্গের সামান্য দূর থেকে ফিরে আসতে হয় কুন্তলবাবুকে। খারাপ পাহাড়ি আবহাওয়ার কারণেই কমবেশি সকলেই অসুস্থ বোধ করেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন| কিন্তু শৃঙ্গ জয় করার সেই মুহূর্তকে তাঁরা যে আজীবন মনে রাখবেন তা বলাই বাহুল্য।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...