৪ ডিজিটের চাবিকাঠি

এটিএম। অটোমোটেড টেলর মেশিন। আবিষ্কার হয় ১৯৬৭ সালে।

 আবিষ্কারের ৫০ বছর হয়ে গিয়েছে। সারা পৃথিবীর অজস্র শহরে এমনকি গ্রামেও পৌঁছে গিয়েছে এটিএম। টাকা তুলতে, টাকা জমা করতে অনেকেই আর ব্যাঙ্কে যান না। ব্যবহার করেন এটিএম। বোধহয় এমন কোনও ব্যাঙ্ক নেই যারা এটিএম পরিষেবা দেন না গ্রাহকদের।

 টাকার দরকার যেখানেই হোক না কেন সঙ্গে যদি ক্যাশ না থাকে কার্ড থাকলেই আপনি চিন্তা মুক্ত। যে কোনো প্রান্তে আপনি টাকা তুলতে পারবেন।  

 নিরাপত্তার বিষয়টি ভীষণ জরুরি প্রশ্ন। যে কার্ড দিয়ে আপনার আর্থিক লেনদেন হয়, তার পাসওয়ার্ড জেনে নেওয়া এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়

 মাত্র চারটি ডিজিট এর ওপর নির্ভর করে আপনার অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেন। এটিএম-এর সফটওয়ার সাপোর্ট করে না চার ডিজিটের বেশি সংখ্যা।

হাজার হাজার টাকার লেনদেন মাত্র চারটি ডিজিটের ওপর সত্যিই কি সুরক্ষিত? এমন প্রশ্ন স্বাভাবিক। পাসওয়ার্ড-এর সংখ্যা কী আর একটু বাড়ানো যেত না?

৪ এর বদলে ৬ বা তারও চেয়েও বড় কোনও সংখ্যা?

 এটিএম সিস্টেমের যিনি আবিষ্কারক অ্যাড্রিয়ান শেফার্ড ব্যারন নিজেও কিন্তু প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছয় ডিজিটের পাসওয়ার্ডের।

 কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। কার কাছে শুনবেন?

 স্কট অ্যাড্রিয়ান শেফার্ড ব্যারনের স্ত্রী’র কাছে।

শোনা যায়, ওর স্ত্রী ক্যারোলিন ৬ ডিজিটের পিন কোড মনে রাখতে পারবেন না। সেই কারণে ৬ থেকে কোডের সংখ্যা কমিয়ে চার করা হয়।

এটিএম-এর আবিষ্কারক জন অ্যাড্রিয়ান ব্যারন জন্মে ছিলেন ভারতের শিলং-এ। তাঁর মা ডরথি ব্যারন ছিলেন উইম্বলডন লেডিস ডাবল প্রতিযগিতায় চ্যাম্পিয়ন। 

কিছু ব্যাংক অবশ্য আছে যারা তাদের এটিএম পরিষেবায় ৪ এর বদলে ৬ ডিজিট ব্যবহার করে।

মনে রাখার পাসওয়ার্ড ছয় সংখ্যা থেকে কমিয়ে চার সংখ্যা করার জন্য ক্যারোলিন কি ভুলোমনা মানুষদের কাছ থেকে একটা ধন্যবাদ পাবেন না?

 কী বলেন আপনারা?

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...