ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান বইতে আমরা এটা পড়েই বড় হয়েছি, মাছের চোয়ালে দাঁতের যে অস্তিত্ব রয়েছে তা বাইরে থেকে দেখাই যায় না। কিন্তু সম্প্রতি এইসব ধ্যানধারণা ধুলোয় মিশে গেছে। কারণ আবিষ্কৃত হয়েছে এমন একপ্রকার মাছ যার চোয়ালে কিনা দাঁত রয়েছে তাও আবার মানুষের মতন। অবাক কান্ড!
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার একটি দ্বীপপুঞ্জে পরিবারের সাথে বেড়াতে গেছিলেন মালেহ বুরোস নামক এক মহিলা। সেখানেই তিনি এক অদ্ভুত ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। ফিরে এসে সেই অভিজ্ঞতাই তিনি জানিয়েছেন সকলকে। তিনি জানান, পরিবারের সাথে ছুটি কাটাতে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন সমুদ্রে ঘেরা এক দ্বীপপুঞ্জে। কোনো এক মনোরম সকালে তিনি হাঁটছিলেন সমুদ্রের পাড় ধরে। সমুদ্রের উথালপাথাল ঢেউয়ে ভর করে একটি মোর মাছকে তিনি ভেসে আসতে দেখেন। সঙ্গে ছেলে থাকায় তিনি ভেবেছিলেন কাছ থেকে মাছটিকে দেখবেন। কিন্তু কাছে যেতেই তার নিজেরই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। কারণ সেই মাছ তো যেমন তেমন মাছ নয়। সেই মাছের চোয়ালে যে রয়েছে মানুষের মতো দাঁতের সারি। মাছের দাঁত যেহেতু কখনো বাইরে থেকে চোখে পড়ে না তাই স্বাভাবিকভাবেই চমকে গেছেন এই মহিলা। তার থেকেও বড় কথা, মাছের দাঁত আকারে খুবই ছোট হয় এবং তার আকারও কখনো মানুষের দাঁতের আকৃতির হয় না। কিন্তু এই যে মাছটি আবিষ্কৃত হয়েছে তার চোয়ালে থাকা দাঁতগুলি একেবারে মানুষের দাঁতের মতো, জানালেন সেই বিদেশিনী।
এরকম একটি অবাক করা কান্ড দেখে আশেপাশের মানুষজনকেও ডেকে আনেন তিনি। সেখানে উপস্থিত সকলেই জানান, এরকম মাছ তারা কখনো দেখেইনি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটি আসলে শিপশেড। এরা মোটামুটি ৭৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। মাছগুলি ডিম ফুটে বেরোনোর পর যেই ৪.৫ সেমি লম্বা হয় তখন থেকেই তাদের দাঁত বেরোতে শুরু হয়। প্রাপ্তবয়স্ক মাছের এই দাঁতগুলি এতটাই শক্ত হয় যে এরা অনায়াসে চিংড়ি, শামুক, ঝিনুকের খোলস ভেঙে দিতে পারে। মালেহ এই মাছের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই কৌতূহল জেগেছে মানুষের মনে। এই মাছ যদি জলের নিচে কোনো মানুষকে কামড়ে দেয় তাহলে সেই মানুষটির অবস্থা কি হতে পারে, ছবি পোস্ট করার সাথে সাথে তিনি এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন।