বিশ্বউষ্ণায়ন নিয়ে সকলেই যখন অতিমাত্রায় চিন্তিত সেই সময়ে দাঁড়িয়ে গবেষণার মাধ্যমে উঠে এলো এক নতুন তথ্য। জানা গেছে, আমিষ খাবার এবং নিরামিষ খাবার উভয়ই জলবায়ু পরিবর্তনের উপরে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে থাকে। জানা গেছে, বেকন স্যান্ডউইচ কিংবা ওয়েস্টার খেয়েও জলবায়ুর পরিবর্তন আটকানো যায়। সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এরকমই একটি তথ্য।
গবেষণায় দেখা গেছে, সারাদিনে একবার মাংস, মাছ কিংবা ডেয়ারি প্রোডাক্ট খেলে তারা পরিবেশের উপর অত্যন্ত কম প্রভাব বিস্তার করে থাকে ডিম ও দুধযুক্ত নিরামিষ প্রোডাক্টের থেকে। যেসব দেশকে নিয়ে এই গবেষণাটি হয়েছিল তার মধ্যে ৯৫% জায়গাতেই এক একই রেজাল্ট দেখা যায়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এটি মূলত যেসব কারণের অন্য হয় তা হলো, এক তো গরুজাতীয় গৃহপালিত পশু পালনের জন্য লাগে প্রচুর শক্তি এবং বড় জায়গা। অন্যদিকে, গবাদি পশুর খাবার তৈরীর জন্য প্রয়োজন পড়ে প্রচুর পরিমান পেস্টিসাইড এবং ফার্টিলাইজার্স। এইসব কীটনাশক এবং সার থেকে নির্গত হয় প্রচুর পরিমানে গ্রিন হাউস গ্যাস যা পৃথিবীকে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত করে চলেছে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, ছোট মাছ, শামুকজাতীয় খাবার কিংবা ছোট পোকামাকড়জাতীয় খাদ্য থেকে খুব কম পরিমান এফেক্ট পড়ে পরিবেশে। গবেষকরা জানান, সম্প্রতি তারা একটি গবেষণা চালায় ১৪০ টি দেশকে নিয়ে। সেই গবেষণার দ্বারা গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণের মাত্রার হিসেবে রাখা হয়। সপ্তাহের একটি দিন পাত থেকে মাংস বাদ দিয়ে, একদিন রেড মিট খাওয়া বন্ধ করে দেখা ওই কোন ক্ষেত্রে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ কম হচ্ছে। এর আগেও পরিবেশ রক্ষার জন্য গাছ না কাটার কথা উঠলেও জানা গেছে, যে পরিমান গাছ গৃহপালিত পশুদের খাওয়ানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে তা পরিবেশে যথেষ্ট এফেক্ট ফেলছে।ইউএন ক্লাইমেট সায়েন্স প্যানেলের ফ্ল্যাগশিপ রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এগ্রিকালচার, ফরেস্ট্রি এবং জমি সংক্রান্ত কাজের কারণে ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমান ম্যান-মেড গ্রিন হাউস গ্যাস বাতাসে মিশেছে।
নানা দেশের থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, প্যারাগুয়েতে এক পাউন্ড বিফ ডেনমার্কের থেকে ১৭ গুন বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ করে থাকে।এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, ল্যাটিন আমেরিকাতে অনেকসময়ই গৃহপালিত পশুর চরার জায়গাগুলি থেকে গাছ কেটে ফেলা হয়। সেইরকমই জানা গেছে, নাইজেরিয়া খুব সাধারণ ডায়েটও হাইয়েস্ট ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট রেখে গেছে।