গঙ্গাবক্ষে চালু হতে চলেছে ভাসমান রেস্তোরাঁ

 

সামনে আসছে পুজো। সব জায়গায় না হলেও কিছু কিছু জায়গায় পুজোর জন্য তোড়জোর শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে বিভিন্ন ক্লাব তাদের খুঁটি পুজো শুরু করে দিয়েছে। শুরু হয়ে গেছে পুজোয় কোন ক্লাব কী নতুন থিম এনে চমক দেবে তার পরিকল্পনা। এরই মাঝে রাজ্য পর্যটন দফতর বেশ খুশির খবর শোনাল। পুজোর আগেই দুটি হাউজবোট রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া করার সুযোগ করে দিতে চলেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। এর জন্য দুটি হাউজবোটকে রেস্তোরাঁ হিসেবে তৈরী করে গঙ্গায় নামানো হচ্ছে।

            এই হাউজবোটের একতলায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বসার জায়গা থাকবে। সেখানে বসতে পারবেন ৪০ জন এবং ওপেন এয়ার রেস্তোরাঁ হবে হাউজবোটের ছাদে। সেখানে ২০জন বসতে পারবেন।পর্যটন দফতরের বিভিন্ন বিষয় পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সেই পদক্ষেপেরই অন্যতম ফসল হল এই ভাসমান রেস্তোরাঁ এবং কনফারেন্স হাউজবোট। কনফারেন্সের জন্য এর আগেই হাউজবোটের উদ্বোধন হয়েছে। যেখানে একসঙ্গে ৩০ জন বসে মিটিং করার সুযোগ পান। তবে এই বোটে কোনোরকম রান্না করা যায়না। রান্না করা খাবার নিয়ে এসে গরম করে পরিবেশন করা যাবে। ভাসমান হাউজবোট রেস্তোরাঁ এবং ভাসমান কনফারেন্স হাউজবোট পুরোদমে চালু করছে পর্যটন দফতর। এগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সব নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে, তা তৈরী করছেন পর্যটন দফতরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্য্য।

              ভাসমান রেস্তোরাঁয় সময় কাটানোর জন্য সাধারণ মানুষেরা অনলাইন বুকিং-এর সুযোগ পাবেন। তবে বাবুঘাটেও স্পট বুকিং-এর সুযোগ থাকবে। ভাসমান দুটি রেস্তোরাঁই গঙ্গায় থাকবে। একটি বাবুঘাট এবং সেই সংলগ্ন এলাকায় ঘুরবে, জেটিতে উঠতে গেলে বাবুঘাট থেকে উঠতে হবে। অপরটি চন্দননগর, বারাকপুর প্রভৃতি এলাকায় গঙ্গার কাছে থাকবে। ওই হাউজবোটে ওই সব এলাকার মানুষ উঠতে পারবেন। শনিবার ও রবিরার সারাদিনই ভাসমান রেস্তোরাঁ চালু থাকবে। বাকি পাঁচদিন বেলার দিকে রেস্তোরাঁ চালু থাকবে। সমস্ত রকম খাবার রাখারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে হাউজবোটগুলিতে। ক্রেতাদের পছন্দমতো আইটেম নিয়ে তৈরী হচ্ছে মেনু লিস্ট। গঙ্গাবক্ষে এই রেস্তোরাঁর ভালোই চাহিদা থাকবে বলে মনে করছে পর্যটন দফতর।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...