দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। এদিকে উৎসবের মরসুম শেষে জীবন ফের ঢুকে পড়েছে চেনা রুটিনে। দুর্গা পুজো থেকে ভাইফোঁটা মন ভরে, পেট পুরে ভোজের দৌলতে ডায়েট চার্টের দফারফা। জামা-কাপড়ও যেন একটু বেশি ফিটিংস। বাড়তি ওজনের ভাবনায় উঁকি দিচ্ছে মনে। তাই যতটুকু বাড়তি সেটুকু ঝরিয়ে ফেলতে ওয়ার্ক আউট টাইম বাড়িয়ে দেওয়াই সহজ উপায়, কিন্তু যাদের সে উপায় নেই তাদের ভরসা ডায়েট চার্ট।
ডায়েট চার্ট মেনে ওজন ঝরাতে শীতকালে সুযোগ অনেকটাই বেশি। মরসুমের বদল শুরু হলে চারপাশ বদলায়, ওয়াড্রব বদলায় আর খাবারের প্লেটই বা বদলাবে না কেন নতুন স্বাদে! এই সময় বাজারে প্রচুর শাক সবজি।
তাই স্যালাড থেকে স্টু কোনটাই বোরিং হয়ে ওঠে না। নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞরাও সেই কথাই বলছেন।
শীতের মরসুমে গাজর, পালং, পেয়ারা,দারুচিনি, মেথি চমক দিতে পারে আপনার ডেলি ডায়েটে।
গাজর- গাজরকে বলা হয় ‘বিস্ময় সবজি’। স্যালাড থেকে স্ট্যু, মেইন কোর্স এমনি স্ন্যাক্স হিসেবো ব্যবহার করা যায়। ডাল আর গাজর একসঙ্গে সেদ্ধ করে লাঞ্চে খেতে পারেন। গাজরের স্যালাডে কখনও ধনে পাতা, কখনও ড্রাইহার্বস বা লেবুর রস দিয়ে স্বাদ বদলে নিয়ে খেতে পারেন রোজ। গাজর লো ক্যালরি ফুড, এতে আছে প্রচুর ফাইবার, যার কারণে গাজর খেলে বেশ কিছুক্ষণ খিদে পায় না।
পেয়ারা- রিসার্চ বলছে আমাদের শরীরের প্রতিদিন যা ফাইবার লাগে তার ১২ শতাংশ একাই মিটিয়ে দেয় একটা পেয়ারা। হজম শক্তি বাড়াতে পেয়ারা অত্যন্ত উপকারী। মেটাবলিসম বাড়াতে হজমশক্তি উন্নত হওয়া জরুরি।
পালং- শীতের মরসুমে রোজ এককাপ পালং শাক থাক ডায়েটে। ত্বকের সমস্যা তো মিটবেই ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। পালং শাকে থাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে। চোখ, ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হাড় ক্ষয় রোধ করে।
মেথি- ওজন কমাতে অব্যর্থ দাওয়াই মেথি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথির জল খেলে তাড়াতাড়ি ওজন কমে। এছাড়া রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোলেস্টেরল, হাইপ্রেশারের সমস্যাতেও কাজ দেয়
দারুচিনি- দারুচিনি মেটাবলিসম রেট বাড়ায়। দিনের শুরুতে জলে দারুচিনি ফুটিয়ে সেই জল খেতে পারেন। এছাড়া কফি বা তরল পানীয়র সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। দারুচিনি গুঁড়ো স্যালাডে মেশালে একই রকম কার্যকর।