সুখী দিবসে সুখী থাকার ৫টি উপায়

কখনো শুধু ঘরের কোণে বসে ছোট্ট আকাশ দেখতে ভালো লাগে, কখনো ব্যাগের পকেটে একটুকরো পছন্দের চকোলেট খুঁজে পেলে মন ভালো হয়ে যায় আবার কখনো ব্যালকনিতে রাখা টবের ছোট্ট একটা ফুল দেখেও তৃপ্তি হয়। আজকের দিনটির বিশেষত্ব এমন তৃপ্তি নিয়ে সুখী হয়ে থাকা ঘিরে। প্রতিবছর  ২০ মার্চ,  ইউনেস্কোর ঘোষণা অনুসারে 'ইন্টারন্যাশনাল হ্যাপিনেস ডে' বা সুখী দিবস হিসেবে পালিত হয়। এ বছর আন্তর্জাতিক সুখী দিবসে ইউনেস্কোর মূল মন্ত্র - নিজের অন্তরাত্মাকে সময় দিয়ে সুখী রাখো। সুখী থাকাটা অনেকটা অভ্যাসের ব্যাপার,  রীতিমত চর্চা করেও সুখী থাকা যায়, বলে জানিয়েছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার একজন অধ্যাপক লুরি স্যান্তোস। খারাপ লাগার অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সে ক্ষেত্রে অনেকটাই দায়িত্বশীল বলে জানান তিনি। সুখী হওয়াটা একটি নিরন্তর চেষ্টার মত, বিজ্ঞানই তা প্রমান করেছে বলেন অধ্যাপক স্যান্তোস। সুখী থাকবার জন্য স্যান্তোসের  অন্যতম পাঁচটি পরামর্শ হল-

জীবনে প্রাপ্তির তালিকাকরণ: ইয়েলে মনোবিজ্ঞানের পড়ুয়াদের বলে হয়েছিল জীবনে যা কিছু প্রাপ্তি বলে মনে হয় তার একটি তালিকা তৈরী করতে। প্রতিদিন রাতে বা সপ্তাহ অন্তে এই তালিকা তৈরীর জন্য বলে হয়েছিল তাদের।  খুব সহজ অথচ এই চর্চাটির ফলে তুলনামূলক ভাবে তারা সত্যিই সুখী অনুভব করতে পেরেছিল বলে জানান স্যান্তোস।

ঘুমের পরিমান বৃদ্ধি: ঘুম বাড়িয়ে দিলে যদি কাজের ক্ষতি হয়! এমন ভাবনাই মনে আসে প্রথমে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রায় প্রতি রাতেই কমপক্ষে আট ঘন্টা প্রয়োজন ভালো ঘুমের। ঘুম যেমন মানসিক  বিষণ্ণতা কমিয়ে দেয় তেমনি শরীরের স্বাভাবিক আরোগ্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ঘুমের ভিতরেই।

ধ্যান: দিনের শত কাজের মাঝে মাত্র ১০ মিনিট মেডিটেশন করার পরামর্শ দেন অধ্যাপক স্যান্তোস। ধ্যানের নিয়মিত অভ্যাস ভিতর থেকে প্রশান্তি নিয়ে আসে। মনোযোগী হতে আর লক্ষ্য স্থির করতে সাহায্য করে ধ্যান। মনোসংযোগ বৃদ্ধি সুখী থাকার জন্য বিশেষ সহায়ক। 

পরিবার-বন্ধু জনের সাথে সময় কাটানো: সম্পদ বলতে অর্থ ধরে থাকি আমরা। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে সময় তার থেকেও বড় সম্পদ। সময় যেমন পরিস্থিতে যার সাথে থাকলে ভালো উপভোগ করা যাবে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ সুখী থাকবার জন্য। সামাজিক-ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক মানুষের ভিতর স্বস্তি এনে দেয় যা সুখী থাকার জন্য প্রয়োজনীয়।

ভার্চুয়াল জগতের বাইরে বাস্তবতা কে প্রাধান্য দেওয়া: আরোপিত খুশির জগতের বাইরে পরে আছে রোমাঞ্চকর বিশাল জগৎ। আধুনিক জীবনযাত্রায় তাল রাখতে যেয়ে বাস্তবতা চলে যাচ্ছে আড়ালে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সামাজিক মাধ্যমে তুলনামূলক ভাবে কম উপস্থিত এমন ব্যবহারকারীদের তুলনামূলক ভাবে অনেক সুখী রাখছে।

অতএব সুখী থাকার অভ্যাস গড়তে প্রতি রাতে বা সপ্তাহান্তে প্রাপ্তির তালিকা তৈরী করে প্রস্তুতি নিন লম্বা একটা ঘুমের। ঘুম থেকে জেগে মাত্র ১০ মিনিট ধ্যানস্থ হয়ে থাকুন। তারপর সামাজিক মাধ্যমে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি অবশ্যই পরিবারের সাথেও মূল্যবান সময় কাটান মনের সুখে। 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...