আইএএস। ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস। পদ এবং দায়িত্বের দিক থেকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপুর্ন চাকরী। কেরিয়ারের দিক থেকে বহু মানুষের স্বপ্ন। মেধা, অধ্যাবসায় এবং অকুতো পরিশ্রম করার ক্ষমতা এই তিন এক না হলে আইএএস হওয়া যায় না।
চূড়ান্ত কঠিন এই পরীক্ষায় প্রতিযোগিতাও প্রবল। সফল হতে সবাই পারে না। মহিলা আইএএস দের সংখ্যা আরও কম। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁদের কাজ দিয়ে বদলে দেবার চেষ্টা করেছেন সমাজের চেনা ছবি। তেমনই কয়েক জনের কথা থাকল এই প্রতিবেদনে।
স্মিতা সাভারওয়াল। ২০০১- তেলেঙ্গানা ক্যাডারের এই মহিলা আইএএস অফিসার ওঁর কাজের জায়গায় জনপ্রিয় ‘পিপলস অফিসার’ নামে। আসামের করিমগঞ্জে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ছিলেন। জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষার ছবিটা বদলে দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রীর অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি।
রিতু সাঁই। ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুর অঞ্চলকে দেশের ‘ক্লিনেস্ট স্মল সিটি’র রূপ দিয়েছেন।
২০০৩ সালে আইএএস ছত্তিশগড় ক্যাডার।
ছত্তিশগড় শারগুজা জেলার অম্বিকাপুর শহর ২০১৮ সালে দেশের মধ্যে ‘ক্লিনেস্ট স্মল সিটি’র শিরোপা পায়। সেই সময় রিতু সাঁই সেখানকার কালেক্টর ছিলেন। শহরের বর্জ্য ও নিকাশি ব্যবস্থাকে যথাযথ করে তুলতে তিনি নিজে প্ল্যান ডিজাইন করে দিয়েছিলেন। বর্তমানে ডাইরেক্টরেট অফ আরবান অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রিতে আছেন।
রোহিনী ভাজিভারকারে। তামিলনাড়ুর সালেম এর প্রথম মহিলা কালেক্টর। ১৭৯০ সালের পর। ২০০৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার। সালিম শহরকে প্লাস্টিক মুক্ত করেন। সরকারী স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলেন মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে।
ভারতী হালকেরি। ২০১০ ব্যাচের আইএএস। তেলেঙ্গানা গর্ভবতী মহিলদের জন্য খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করেন।
অরুণা সুন্দরারাজন। ১৯৮২ ব্যাচের আইএএস। ১৯৯৮-এ কেরলে আইটি ডিপার্টমেন্ট গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তাঁর। কেরালার প্রথম আইটি সেক্রেটারি। ভারতের প্রথম জেলা ভিত্তিক সাক্ষরতা প্রকল্প গড়ে তোলেন তাঁর অক্ষয়া প্রজেক্ট দিয়ে। মল্লপুরাম জেলায় প্রত্যেক পরিবার কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত পরিবার। তার নেপথ্যেও অরুণা।
বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন সেক্রেটারি।