২০১৯ সালের শান্তিস্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় একমাত্র মহিলা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট কলকাতার বিজ্ঞানী ডঃ নীনা গুপ্তা। পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন বাঙালি বিজ্ঞানী। মোট ১২ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে এই পুরস্কার প্রাপক হিসেবে।
মূলতঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্ত কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর প্রতিষ্ঠা দিবসে এই ১২ জন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের অনুষ্ঠানের দিন পুরস্কার প্রাপকদের হাতে স্মারক এবং ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে। মোট সাতটি বিভাগে এই পুরস্কার দেয় কেন্দ্র। বাঙালি পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে ডঃ সৌমেন বসাক(ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজি, নতুন দিল্লি), কেমিক্যাল সায়েন্সে তাপসকুমার মাজি (জওহরলাল নেহেরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্স সায়েন্টিফিক রিসার্চ, বেঙ্গালুরু), অ্যাটমোস্ফিয়ার সায়েন্সে ডঃ সুবিমল ঘোষ (আই আই টি, বম্বে), ফিজিক্যাল সায়েন্সে ডঃ শংকর ঘোষ (টিআইএফআর, মুম্বই) এবং ডঃ অনিন্দ্য সিনহা (আইআইএসসি, বেঙ্গালুরু)।
এছাড়া অঙ্ক শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন একমাত্র মহিলা বিজ্ঞানী কলকাতার ডঃ নীনা গুপ্তা। মূলতঃ কমিউনেটিভ অ্যালজেব্রা এবং অ্যাফাইন অ্যালজেব্রিক জিওমেট্রি নিয়েই কাজ করেন নীনা। তিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে কাজ করার আগে টিআইএফআর-এ কর্মরত ছিলেন। ২০০৬ সালে বেথুন কলেজ থেকে অঙ্ক নিয়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকেই তিনি গণিতে মাস্টার্স করেন ২০০৮ সালে। এর পর ২০১১ সালে অ্যালজেব্রিক জিওমেট্রির ওপর তিনি গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। লরেন্ট পলিনোমিয়াল ফাইব্রেশন এবং কোয়াসি এ অ্যালজেব্রা বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমাধান-ই ছিল তাঁর গবেষণা পেপার-এর থিসিস। ২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমি-র তরফ থেকে পুরস্কৃত হন।
এছাড়াও ডঃ কায়ারাতসাই কৃষ্ণাণ (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, পুনে), ডঃ রাঘবন বি সুনোজ (আইআইটি বম্বে), ডঃ মানিক ভার্মা (মাইক্রোসফট রিসার্চ ইন্ডিয়া বেঙ্গালুরু), ডঃ দিশান্ত ময়ুরভাই পাঞ্চোলি (ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স, চেন্নাই), ডঃ ধীরাজ কুমার (ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি, নতুন দিল্লি), ডঃ মহম্মদ জাভেদ আলি (এল ভি প্রসাদ এই ইনস্টিটিউট, হায়দ্রাবাদ), পেয়েছেন এবারের শান্তিনগর ভাটনাগর পুরস্কার।
President Kovind graced the Foundation Day Celebrations of the Council of Scientific & Industrial Research in New Delhi; says the true test of scientific research lies in its ability to help our society accelerate socio-economic development pic.twitter.com/uOnDpiZ0tG
— President of India (@rashtrapatibhvn) September 26, 2019