মাছ চাষ নিয়ে নতুন ভাবনা রাজ্য মৎস্য দফতরের। দফতর সূত্রে আগেই জানা গিয়েছে যে, শহরের একাধিক পুকুর এবং জলাশয়ে মাছ চাষ করা হবে। তবে এবার টালি নালায় মাছ চাষ করার কথা ভাবছেন দফতরের আধিকারিকেরা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রথমে টালি নালার জলের মান নির্ণয়ে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে চায় দফতর। উক্ত পরিকল্পনার বিষয়ে মৎস্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শহরের জলাশয়ে মাছ চাষ নিয়ে আগেই পুরসভার সঙ্গে কথা হয়েছিল দফতরের। কিন্তু খোদ টালি নালাতেই যে মাছ চাষ সম্ভব, তা নিয়ে এর আগে কোনও দিন তাঁরা ভেবে দেখেননি। পুরসভার পরিবেশ দফতরের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, শহরের অনেক ডোবা ও জলাশয়ে মাছ চাষ নিয়ে মৎস্য দফতরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। দফতরের নির্দেশিকা মেনে এই চাষ করছে পুরসভা এমনটাই জানান তিনি। তাছাড়া টালি নালায় মাছ চাষ নিয়েও প্রাথমিক ভাবে কথা হয়েছে এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে টালি নালায় মাছ চাষ করা সম্ভব কি না, সেই বিষয়ে জানা গেছে যে, রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা মৎস্য বিশেষজ্ঞ গদাধর দাস জানান, যে সব মাছ কাদায় থাকতে পছন্দ করে, সেগুলি টালি নালায় বেশি জন্মায়। কিন্তু মাছ চাষের আগে জলের গুণগত মান পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন।কারন বিশুদ্ধ জলে পিএইচ ফ্যাক্টর হয় ৭। মাছ চাষের জন্য জল হতে হয় অল্প ক্ষারীয়(পিএইচ ফ্যাক্টর ৭.৫-৮.৫)। তাই টালি নালায় মাছ চাষ করা সম্ভব বলে জানা গিয়েছে।পুরসভার পরিবেশ দফতর সূত্রের খবর, শহরে যাতে জলাশয় বোজানো না হয়, তাই পুর কর্তৃপক্ষ বরো ও ওয়ার্ডভিত্তিক মাছ চাষের ব্যবস্থা করে। সে ক্ষেত্রে মৎস্য দফতরের নিয়ম মেনে মাছ চাষের জন্য পুরসভার জলাশয় ‘লিজ’ দেওয়া হয়। তবে টালি নালায় একই ভাবে মাছ চাষ করা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও ভাবনা চিন্তা করা হয়নি। বর্তমানে টালি নালায় মাছ থাকলেও তা সংখ্যায় কম। তাই টালি নালা পরিষ্কার রাখতে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করছে পুরসভা। মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, ওখানে যাতে জঞ্জাল না পড়ে, তার জন্য ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। নাব্যতা ঠিক রাখতে নৌকাও চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।