ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের চিকিৎসা নিয়ে আজও চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক থেকে শুরু করে গবেষকদের কপালে।ক্যান্সার এমন একটি রোগ যা শরীরে একবার থাবা বসালে তার থেকে নিস্তার পাওয়া বেশ কঠিন।কেমোথেরাপি আর রেডিওথেরাপির উপরে ভরসা করেই বাকি জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে রোগীদের। কিন্তু এইভাবে কতদিন? যেই রোগের কোনো ওষুধ আজও আবিষ্কার হয়নি সেই রোগ নিয়ে যে গবেষণা চলতেই থাকবে তা নতুন কথা নয়।
সম্প্রতি নানা গবেষণা থেকে উঠে এসেছে নানা তথ্য। সেই তথ্য অনুযায়ী, মাছের তেল ক্যান্সার এবং হার্টের রোগ নিরাময় করার ক্ষেত্রে পজিটিভ সিগন্যাল দিয়েছে।গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের তেলে উপস্থিত ভিটামিন ডি এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যান্সারের ফলে ঘটে মৃত্যুকে প্রতিরোধ করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে।শুধু ক্যান্সার নয় আচমকা হওয়া হার্ট অ্যাটাক থেকেও রক্ষা করতে সমর্থ মাছের তেল।গবেষকরা জানিয়েছেন, গবেষণার ফল মিশ্র এলেও তার যে ইতিবাচক প্রভাব থাকবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
গবেষণার যে ফলাফল পাওয়া গেছে তার থেকে জানা গেছে, গবেষণার ফলে প্রাপ্ত ফলের একদিকে যেমন লাভ রয়েছে অন্যদিকে সেরকমই রয়েছে বিপদের আশঙ্কা। এর থেকে বাঁচার জন্য ভবিষ্যতে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলেই জানিয়েছেন তারা। মাছের তেলের ঠিক কোন উপাদানটি ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করছে তা জানার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।২৬,০০০ নারী ও পুরুষ এই গবেষণায় সামিল হন ভাইটাল এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে।টানা পাঁচ বছর ধরে করা এই পরীক্ষার পর অবশেষে এই সিদ্ধান্তে আসেন গবেষকগণ।তারা জানিয়েছেন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের হার্ট অ্যাটাক কমানোর ক্ষেত্রে খুব কম ভূমিকা রয়েছে বলেই জানা গেছে।সম্প্রতি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ট্রায়ালের ডেটা অ্যানালিসিস করে দেখা গেছে, গবেষণার ফলাফলটি একেবারেই নির্ভুল।
অন্যদিকে, একইভাবে ভিটামিন ডি-ও মেজর কার্ডিও ভাস্কুলার ইভেন্টগুলিকে আটকাতে পারে না কিংবা একজন মানুষের শরীর থেকে ক্যান্সার একেবারে নির্মূল করতে পারে না।কিন্তু ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো ভিটামিন ডি-ও ক্যান্সারের ফলে মৃত্যুর হার কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে।গত দুই বছর ধরে যারা নিয়মিত মাছের তেল খেয়ে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যেতে দেখা গেছে।