"বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা/ বিপদে আমি না যেন করি ভয়"। - এমনটা বলেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ভারতের প্রথম লোকপাল পিনাকীচন্দ্র ঘোষ। দায়িত্ব সামলেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির। গত শনিবার গোলপার্কের রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার-এ আয়োজিত এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে মেরুদন্ড সোজা রেখে দেশের লোকপালের দায়িত্বপালনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি জানান। যে কোনো পরিস্থিতিতেই নিজের দায়িত্বের মর্যাদা রাখবেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একটি কমিটি গত ২৭ মার্চ পিনাকীবাবুকে প্রথম ভারতের লোকপাল হিসেবে নির্বাচিত করে। ভারতের দুর্নীতির সুরাহা করতে ২০১৩ সালে এই পদটি নির্মিত হয়। ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন পিনাকীবাবু।
১৯৬৩ সাল থেকে অন্তত ১০ বার উক্ত আইনটি আইনসভায় পেশ হলেও তা অনুমোদিত হয়েছে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তার বিচার করার অধিকার রয়েছে লোকপালের। অপরদিকে রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে সেই অধিকার রয়েছে লোকায়ুক্তের। গত ৬তারিখ বাংলার নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে অতিথি বক্তা স্বামী সুপর্ণানন্দজী জানান, আইনানুযায়ী লোকপাল অবশ্যই দুর্নীতির বিচার করবেন, তবে এই দুর্নীতি রোধে সাধারণ মানুষেরও দায়িত্ব রয়েছে বলে জানান স্বামীজী। সাধারণ মানুষ যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে, সেটাই হবে আসল প্রতিবাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠি।
আইনানুযায়ী লোকপাল কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান সহ মোট আট জনের কমিটি হওয়া উচিত। তার মধ্যে চার জন থাকবেন বিচার বিভাগীয় মন্ত্রক থেকে। চেয়ারম্যান ভারতের প্রধান বিচারপতির সমান বেতন পাবেন এবং বাকি সদস্যরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের সমান বেতন পাবেন। মনোনীত লোকপাল কমিটি ৫ বছর তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।