বিশ্বের প্রথম জীবন্ত রোবট আবিষ্কৃত হল

এই প্রথম বিজ্ঞানীরা জীবন্ত রোবট আবিষ্কার করলেন। বিজ্ঞানীরা ব্যাঙের ভ্রূণ থেকে কোষ সংগ্রহ করে তা মেশিনে রূপান্তরিত করেছেন। বিশ্বে এই প্রথমবার মানুষ এমন একটি রোবট আবিষ্কার করল, যা সম্পূর্ণভাবে বায়োলোজিক্যালি তৈরি হল। এই আবিষ্কারকে এক কথায় যুগান্তকারী আবিষ্কার বলা চলে।

                    নতুন ছোট এই রোবট 'জেনোবোটস' রোগীর শরীরে ওষুধ নিয়ে যেতে সক্ষম আবার সাগরের দূষণ পরিষ্কার করতেও সক্ষম। এছাড়া নিজেদের শরীরের যে কোনও রকম ক্ষত তারা নিজেরাই সরিয়ে ফেলতে সক্ষম। ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী, এই আবিষ্কারের অন্যতম একজন সদস্য 'জোসুয়া বোনগার্ড' জানান, এই নতুন রোবট মেশিন একেবারে নতুনভাবে জীবনের প্রতিরূপ। এই রোবোটগুলি সাধারণ রোবটও নয় আবার অন্য কোনও পশুর নমুনাও নয়। একেবারে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি জীবন্ত, প্রোগ্রামযুক্ত একটি প্রাণীর প্রতিরূপ। এটি ট্র্যাডিশনাল রোবটের মত দেখতেও নয় এবং তথাকথিত রোবটের মত এর আলাদা কোনও বাহুও নেই। এটি ছোট্ট একটি গোলাপি ভ্রাম্যমাণ মাংসের টুকরোর মত দেখতে। কিন্তু এই জৈব যন্ত্রটি যে কোনও কাজ করতে পারে, যা সাধারণ স্টিল এবং প্লাস্টিকের রোবট পারেনা। কিছু জেনোবোটের কেন্দ্রে একটি গর্ত থাকে, যার মধ্যে দিয়ে ওষুধ স্থানান্তরিত করা যায়।

                 তথাকথিত রোবটের বেশিক্ষণ কাজ করতে গেলে কাজের মান নেমে যায় এছাড়াও তাদের তরফ থেকে বাস্তু সংক্রান্ত এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষতিকারক দিক থাকে, যা এই রোবটের নেই। 'প্রসিডিং অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস' নামক একটি জার্নালে বলা হয়েছে, এই জেনোবোট নামক রোবোটগুলি যথেষ্ট পরিবেশবান্ধব। জেনোবোট রেডিওঅ্যাকটিভ বর্জ্য পরিষ্কার করতে পারে, সমুদ্র থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক খুঁজে নিতে পারে, মানবদেহে ওষুধ নিয়ে যেতে পারে। এরা চরম প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান সংগ্রহ করে নিতে পারে। এছাড়াও রোবটটি ভবিষ্যতে মানব কোষের জটিল তত্ত্ব আবিষ্কারের দিশারী হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে থ্রি ডি বায়োলজিক্যাল ফর্ম বানানো যেতে পারে। জন্মগত ত্রুটি, টিউমারের চিকিৎসা, ট্রমাটিক ক্ষত-র চিকিৎসায় এই রোবট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি এই রোবটের মাধ্যমে ক্ষতিকারক কাজ হওয়ারও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এর ভেতর বিভিন্ন রকম কাজের জন্য বিভিন্ন রকম শব্দের ব্যবস্থা করা রয়েছে, কিন্তু তেমনভাবে অ্যালার্মের প্রয়োজন নেই বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানিরা। এই রোবোটগুলি নির্মাণে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সির মাধ্যমে তৈরী সুপার কম্পিউটারের যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...