২০২৪-’২৫ আর্থিক বর্ষের প্রথম দিন আজ। ১ এপ্রিল সোমবার থেকে বাড়ছে জীবনদায়ী গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম। জানা গিয়েছে যে কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সার মন্ত্রক হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সে বাড়ানোর সাথেই তাল মিলিয়ে ওষুধের দামে নতুন ঊর্ধ্বসীমা বসিয়েছে। ফলে বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় ৮০০ রকমের মানুষের রোজকার প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে ২০১৩ সালের ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার মোতাবেক ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে যে স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, পেনকিলার (ব্যাথা-যন্ত্রণার ওষুধ), ভিটামিন, রক্তচাপ-সুগার-কোলেস্টেরল এবং জ্বর-সর্দি-কাশির মত প্রায় ৮০০ ওষুধের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
তবে, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত যে বিগত বছরের তুলনায় এবারের ওষুধের দাম বাড়ানোটা খুবই কম। কারণ এনপিপিএ জানিয়েছে জানিয়ছে যে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন উপদেষ্টামণ্ডলীর সুপারিশ মেনে, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী ৭২৬ রকমের ওষুধের দাম বাড়ানো স্থির করা হয়েছে, ফলে, সেটা পুরনো দামের থেকে ০.০০৫৫১% বেশি। আর সেখানে ২০২২-’২৩ অর্থিক বর্ষে ১০% এবং ২০২৩-’২৪ অর্থিক বর্ষে ১২% হারে দাম বাড়িয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তারা দাবি যে এবারে নগন্য হারে দাম বাড়ানোর ফলে আমজনতার পকেটে তেমন চাপ পরবে না। কিন্তু এই ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সংশয়ে পরেছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার এবং প্রত্যেকদিন ওষুধ ব্যবহারকারীরা। কারণ তাঁদের কাছে এই সামান্য মূল্যবৃদ্ধি মানেই অনেকটা। এই বিষয়ে বহু চিকিৎসকদের মতে এক।
এবারে একেবারে নগন্য হারে দাম বৃদ্ধির ফলে আমজনতার পকেটে তেমন চাপ পরবে না বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তারা দাবি করলেও, সংশয়ে পরেছেন নিত্য অত্যাবশকীয় ওষুধ ব্যবহারকারীরা। কারণ, বহু দরিদ্র মানুষকে প্রতিদিন রক্তচাপ বা সুগারের ওষুধ খেতে হয়। তাঁদের কাছে সামান্য বৃদ্ধিই অনেক বড় চিন্তার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশও।
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের ৬৯টি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন করে ঊর্ধ্বসীমা স্থির করা হয়েছে। এনপিপিএ জানিয়েছে যে এই সমস্ত ওষুধগুলির দামের ঊর্ধ্বসীমা ৮.৯২ টাকা থেকে ১৩.২৫ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে।