এ বছরের ম্যানবুকার পুরস্কার পেলেন জোখা আলহার্থি। এই প্রথম আরব দুনিয়া থেকে কোনও ঔপন্যাসিক বুকার সম্মান পেলেন। ‘সেলেস্টিয়াল বডিজ’ উপন্যাসের জন্য ওমানি বুকারের জন্য তিনি নির্বাচিত হন।
উপন্যাসটির কেন্দ্রে তিন বোন। মায়া, আসমা আর খাওলা। যারা ওমানের সমাজে ঘটে চলা পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়েই আবর্তিত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনী। ওমানের বদলে যাওয়া সমাজ, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সামাজিক অভিযোজনের সংগ্রামকে একটি পরিবারের আয়নায় উপস্থাপিত করেছেন জোখা। ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্ত হবার পর একটা দেশের সমাজ- সংস্কৃতি-জীবন যাত্রা সব কিছুতেই বদল আসে। ঔপনিবেশিকতার সময়কাল যত দীর্ঘ হয় বিবর্তনের ছাপও তত স্পষ্ট। মানুষের বেঁচে থাকার চেনা ছক ক্রমশ বদলে যেতে থাকে। বদলের সঙ্গে বদলে যাওয়ার এক নিরন্তর সংগ্রাম। যা সব দেশে সব কালে সত্যি।
উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ওমানের আল-আওয়াফি গ্রাম।
উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছে। ৫০,০০০ হাজার পাউন্ড মূল্যের পুরস্কার আলহার্থি উপন্যাসটির অনুবাদক মার্কিন শিক্ষাবিদ মেরিলিয়ানের সঙ্গে সমমূল্যে ভাগ করে নেবেন।
জোখা আলহার্থি প্রথম কোন ওমানি ঔপন্যাসিক যাঁর সাহিত্য ইংরেজিতে অনুবাদ করা হল।
ম্যানবুকারের অন্যতম জুরি ইতিহাসবিদ বেটনি হাগস মন্তব্য করেছেন, ‘সেলেস্টিয়াল বডিজ’ উপন্যাসটির মগজ এবং হৃদয় দুই আছে। লেখার স্টাইলটি আসলে রূপক, যা সূক্ষ্ম ভাবে দাসত্ব, লিঙ্গভেদ ও সমাজের সব ক্লিশের বিরুদ্ধে কথা বলেছে।''
লন্ডনের রাউন্ড হাউজে পুরস্কার নিতে এসে সাংবাদিকদের আলহার্থি বলেন, “আমি খুব রোমাঞ্চিত। উন্নত আরব সংস্কৃতির একটি জানলা খুলে গেল আজ।”
দ্য গার্ডিয়ান' লিখেছে বইটি এমন এক সংস্কৃতির ভিতরে উঁকি দিয়েছে যা পশ্চিমের কাছে অপেক্ষাকৃত অচেনা।
১৯৭৮ সালে ওমানে আলহার্থির জন্ম। ওমানের বাসিন্দা। আরবে ভাষায় তিনি আরও দুটি উপন্যাস লিখেছেন। শিশু সাহিত্যেও কাজ করেছেন।