মেয়েদের জীবনের সঙ্গে একটা কড়া সত্যি কথা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আর সেটা হল- “সংসারের জন্য যতই করো না কেন প্রশংসা মিলবে না। বরং তোমার না পারাগুলোকেই বেশি প্রকট করে দেখা হবে।” যেটা এই মুহূর্তে ঘটছে ইন্দ্রাণী হালদারের সঙ্গে। অর্থাৎ শ্রীময়ীর সঙ্গে।
শ্রীময়ীর বড় ছেলে অঙ্কুশের বিয়ে। খুব আভিজাত্যপূর্ণ বাড়ির মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে অঙ্কুশের। স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি শ্রীময়ী। সে ছেলের বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করতে চায়। বাধ সাধে তার শ্বশুরঘরের লোকজন। বিশেষ করে তার স্বামী আনন্দ। আনন্দর বক্তব্য- আজকালকার আদবকায়দা শ্রীময়ী জানে না। অভিজাত সম্প্রদায়ের আত্মীয়স্বজনদের কী ভাবে অভ্যর্থনা করতে হয় তা জানা নেই শ্রীময়ীর। আর তাই বিয়ের যাবতীয় আলোচনা আনন্দ তার সহকর্মী জুনের সঙ্গেই করে। অঙ্কুশের বিয়ের সব দায়িত্ব তারই কাঁধে দিয়েছে আনন্দ। শ্রীময়ী কষ্ট পায়। তবু মুখে কিছু বলতে পারে না। মেনে নেয় নিজের অক্ষমতা...
আমরা মেয়েরা আসলে এরকমই। ঠিক শ্রীময়ীর মতো। মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়া যেন আমাদের জন্মগত কাজ, অধিকারও বলা যেতে পারে। মেয়েদের এই না পারা, মানিয়ে নেওয়া, মেনে নেওয়াগুলোকে সঙ্গে নিয়েই চলছে ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’। শ্রীময়ীকে দূরে সরিয়ে রেখেই ধারাবাহিকে শুরু হয়েছে অঙ্কুশের বিবাহ পর্ব। দেখুন সন্ধে ৭ টায়।