একটা সময় মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম করেছিল ছবি আঁকাকে, তখন শিল্পের ধারণা গড়েই ওঠেনি, ছিল অবচেতন মনের প্রকাশ বা প্রয়োজনীয় ভাবপ্রকাশের মাধ্যম। আর তাই পরবর্তীকালে চিত্রশিল্পের ধারণাকেই ব্যক্ত করেছে। স্বাভাবিক ভাবে সেই সব চিত্রকল্পে প্রকাশ ঘটত পর্বত গাত্রে, গুহাগাত্রে। যার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে ভারত সহ বিশ্বের সর্বত্রই এবং তাদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম বলাই বাহুল্য। আজ এমন এক ছবির কথা বলব যা বেশ অভিনব এবং যা প্রায় ২ হাজার বছরের কিছু আগের ইতিহাসকে তুলে ধরেছে।
সম্প্রতি এক পর্বতারোহী দল পেরুর নাজকা পর্বতমালার একটি পাহাড়ের গায়ে প্রায় ২৭ মিটার লম্বা অতিকায় একটি বিড়াল দেখতে পায়। ঐতিহাসিকদের মতে ২০০ থেকে ১৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ পারাকাস যুগে আঁকা হয়েছিল এই বিড়াল। পারাকাস যুগের একাধিক শিল্পকর্ম ইউনেস্কোর তরফ থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের সম্মান অর্জন করেছে, এমনকি নাজকা পর্বতমালার একাধিক পাহাড়ে এর আগে এমন নিদর্শন প্রাপ্ত হলেও এই বিড়াল সবেমাত্র আবিষ্কৃত। তবে মা ষষ্ঠীর এই বাহন আর কী তথ্য দিতে পারে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।