উৎসবের মরসুম শেষ হলেও বাঙালির উৎসব ফুরোয় না। দীপাবলি শেষ হলে বহু জায়গায় চলে অন্নকূট উৎসব। কোথাও বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় শ্রীকৃষ্ণকে। চৈতন্যপ্রেমে মাতোয়ারা হয় মানুষ। সেই সুবাসেই আজ রইল মহাপ্রভুর প্রিয় তিন পদের প্রণালী
পুষ্পান্ন
শ্রীকৃষ্ণের অতি প্রিয় ভোগ পুষ্পান্ন। শ্রীচৈতন্যেরও অত্যন্ত প্রিয়। আজও বিভিন্ন মন্দিরে শ্যামরাইকে পুষ্পান্ন ভোগ নিবেদন করা হয়।
কী কী লাগবে
বাসমতি চাল- এক কাপ
ছানা
কাজুবাদাম
পেস্তা
কিশমিশ
নারকেল
ঘি
দুধ
হলুদ
লাল লঙ্কা
দারুচিনি
লবঙ্গ
এলাচ
কালঞ্জি
হিং
চিনি ও নুন
জাফরান
কী করে রাঁধবেন
চাল ভিজিয়ে রাখুন। ছানা সঙ্গে ময়দা আর অল্প নুন-চিনি মিশিয়ে হাতে সামান্য তেল মেখে ছানা পাকিয়ে ছোট ছোট বল তৈরী করুন। একটি পাত্রে নারকেল কুচি করে কাটুন। সেই পাত্রের মধ্যেই কিশমিশ, কাজু, পেস্তা রাখুন। একটি বড় পাত্রে জল ঝরানো চাল নিন, তার মধ্যে হলুদ আর ঘি মাখান। গরম দুধে জাফরান ভিজিয়ে রাখুন।
কড়াইতে সামান্য ঘি দিয়ে নারকেল, বাদাম, পেস্তা ও কিশমিশ হালকা করে ভেজে নিন। ওই ঘিয়ের মধ্যেই ছানার বলগুলিও ভেজে তুলে নিন।
কড়াইতে আবার নতুন করে একতু বেশি পরিমানে ঘি দিয়ে শুকনো লঙ্কা, জিরে, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, কালঞ্জি ফোড়ন দিন। সব বাদামি হয়ে এলে হিং দিন। গন্ধ বেরতে শুরু করলে হলুদ মাখা চাল তুলে দিন কড়াইতে। নরম জল ঢালুন। একটু ফুটলে নুন চিনি দিন।
চাল আধসেদ্ধ হলে নারকেল, বাদাম, পেস্তা, কিশমিশগুলো দিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন। গরম হয়ে গেলে ছানার বল আর ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। অনেকে ছানার বল হালকা ভেঙে দেন।
জগন্নাথের মিষ্টি ডাল
কী কী লাগবে
ছোলার ডাল- ১ কাপ
টম্যাটো-১ টা
তেজপাতা- ২টো
মাখন- ৪ চামচ
জিরে গুঁড়ো- পরিমান মতো
আদাকুচি, হিং- পরিমান মতো
নুন ও চিনি- পরিমাণ মতো
নারকেল কোরা- ৫ চামচ
গুড়- ১ ছোট চামচ
কীভাবে রাঁধবেন
ডাল আগের দিন রাত থেকে ভিজিয়ে রাখুন। রান্নার সময় একেবারে শুরুতেই সেদ্ধ করতে দিন। টম্যাটো কুচিয়ে নিন। একটি কড়াইতে মাখন দিয়ে ট্ম্যাটো হালকা নেড়ে ্সেদ্ধ ডালের মধ্যে মিশিয়ে নিয়ে ডাল ফের ঢাকা দিন। এবার কড়াইতে মাখন গরম করে তেজপাতা ফোড়ন দিন। ক্যেক সেকেন্ড পর আদাকুচি, জিরে, হিং আর নারকেল কোরা ফোড়ন দিন। মিষ্টি গন্ধ বেরতে শুরু করলে ফোড়নি ডালের মধ্যে ঢালুন। গুড় মিশিয়ে এক্টু ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। গুড়ের বদলে চিনিও ব্যবহার করতে পারেন।
লাউয়ের পায়েস
কী কী লাগবে
দানা বিহীন একদম কচি লাউ (গ্রেট করা)
তেজপাতা
ঘন দুধ
বাতাসা ও চিনি
খোয়া ক্ষীর
এলাচ গুঁড়ো
কীভাবে করবেন
কড়াইতে বেশ খানিকটা ঘি দিন। তেজপাতা দিন। ঘি থেকে ধোঁয়া বেরতে শুরু করলে গ্রেট করা লাউ দিয়ে ঢাকা দিন। খানিকবাদে নাড়াচাড়া করে ভাজুন। লাউ যাতে লালা না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। লাউ থেকে খানিক জল বেরিয়ে আসবে। নাড়তে নাড়তে সেই জল শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর ফোটানো ঘন দুধ দিয়ে দিন কড়াইতে। নাড়তে থাকুন। লাউ প্রায় দুধের সঙ্গে মিশে যাবে। এরপর মিষ্টি দিন। বাতাসা আর চিনি মিলিয়ে দিতে পারেন।
বেশ ঘন হয়ে এলে কাজু কিশমিশ দিয়ে দিন। এইবেলায়। ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন খোয়াক্ষীর। নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন। সামান্য এলাচ গুঁড়ো দিতে পারেন সুঘ্রাণের জন্য।