দশকে দশকে মেয়েদের বদলে যাওয়া দলিল হয়ে থাকে সিনেমা

সিনেমা। ঘোর লাগানো এই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড আসলে সমাজেরই আয়না। যতই নায়িকার টানে কেঁপে যাক আসমুদ্র হিমাচল ‘নায়িকা’ আসলে পিছড়ে বর্গের জনতা।

 ছবির ‘হিরো’ই আসল। সেই ভিলেন সামলাবে সেই আবার নায়িকা সামলাবে। ছবির শেষে জিত হবে তারই। গল্পের নারী চরিত্র মানে ‘হিরো’র মা, প্রেমিকা বা বোন সবার রক্ষক সে। নায়িকার কাজ তার মনোরঞ্জন করা।

cine 3

 প্রযোজক, পরিচালক থেকে পারিশ্রমিক সব ‘হিরো’র সুতোর কাঠপুতুল। ভারতীয় ছবির জগতে অতি স্বাভাবিক।

কিন্তু সেই ধারাতেই লেগেছিল বদলের রঙ। চিৎকার বা আন্দোলনে নয়, শুধুমাত্র প্রতিভার জেদে।

চিরাচরিত হিরোকেন্দ্রিক ভাবনার মূলে আঘাত হেনেছিল অভিনেত্রীদের প্রতিভার বিচ্ছুরণ। মধুবালা, নার্গিস, ওয়াহিদা রহমান, মীনাকুমারী নামগুলো যথেষ্ট। নাম থেকে উঠে আসা দ্যুতিতে পুড়ে যায় দর্শকদের মন। শুধুমাত্র সৌন্দর্যে নয়, অভিনয়ের মেধায়। এক একটা নাম এক একটা যুগ।

cine-5

একটা সময় আর মুখ ফিরিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। ছবির বিষয়ে আসে নারী কেন্দ্রিক গল্প। অবলা থেকে সবলা হয়ে ওঠার সংগ্রাম।

ছবি আসলে সমাজ সময়ের ভাঙ্গাগড়ার আয়নাও। দশকে দশকে মেয়েদের বদলে যাওয়া দলিল হয়ে থাকে পর্দায়। সেই পথে আজও চলছে ভারতীয় সিনেমা। তাই একা মেয়ের বিয়ে ভেঙে হনিমুনে যাওয়াও গল্প হয়ে উঠে আসছে পর্দায়।

cine-4

‘মাদারইন্ডিয়া’র নার্গিস আর ‘এনএইচ-টেন’র অনুষ্কা শর্মা এভাবেই এক হয়ে যাচ্ছেন। সিনেমা বদলাচ্ছে। দেশও...

কী বলেন আপনারা?        

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...