ফেলুদার জন্ম এই মহানগরীর বুকেই| ১৯৫৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন এই মহান শিল্পী| বাবা মা ভালোবেসে নাম রেখেছিল ‘বেনু’| তিনি হলেন ভারতের হিন্দি ও বাংলার চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন এর এক অসাধারণ অভিনেতা| তাঁর অবদান বিনোদন জগতে অবিস্মরণীয়|
তিনি তাঁর উচ্চমাধ্যমিক সম্পুর্ণ করেন দিল্লীর এক কলেজ থেকে| তারপর বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন| তিনি ১৯৮৬ সালে মিঠু চক্রবর্তীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন| তাঁদের দুই পুত্র গৌরব চক্রবর্তী আর অর্জুন চক্রবর্তী তৎকালিন টলিউডের বেশ পরিচিত অভিনেতা।
তিনি অভিনয় জীবনে তাঁর ডেবিউ ছবি করেছিলেন ১৯৯২ সালে, ছবির নাম ‘অন্তর্ধান’, পরিচালক ছিল তপন সিংহ| তারপর নানান টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয় করে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি |
তাঁর অভিনীত ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘অন্তর্ধান’, ‘মাহুলবানির সারেং’, ‘স্বেত পাথরের থালা’, ‘নিশিযাপন’, ‘পরিণীতা’, ‘খাকী’ ইত্যাদি| ১৯৯৬ সালে ‘বাক্স রহস্য’ ও ‘গোসাইপুর সরগরম ছবিতে’ "ফেলুদা" রুপে তার প্রথম আত্মপ্রকাশ। আর তার পর থেকে টলিউডের সব ফেলুদা সিরিজের প্রধান মুখ হয়ে যান তিনি| টলিউডে ফেলুদা বলতে তখন একটাই নাম সকলের মাথায় আসে তা হল ‘সভ্যসাচী চক্রবর্তী’| ফেলুদার পাশাপাশি ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া কাকাবাবু সিরিজের ছবি ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন?’ ও ২০০১ সালে ‘এক টুকরো চাঁদ’ ছবিতে তাকে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ও করেন। উপরোক্ত ছবি ছাড়াও তাকে আরো অনেক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে যথা- ‘দ্য নামেসাকে’, ‘ফ্যান্টম’| এছাড়াও নতুন ছবি আসছে তাঁর ‘নেটওয়ার্ক’ এবং ‘কলকাতায় কোহিনুর’|
তাঁর সম্বন্ধে এক অন্যতম বিশেষত্ব তিনি অত্যন্ত প্রকৃতি প্রেমী, তাই তাঁর দক্ষতা ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফিতে-ও অপরিসীম|
জিয়ো বাংলার তরফ থেকে ফেলুদার উন্নতিপূর্ণ জীবনের জন্য রইলো অশেষ শুভ কামনা|